নিজের প্রেয়সীকে দিয়েছিলেন ৪৪ কোটি টাকার লটারি, প্রেয়সী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্লক করে পালালো প্রেমিককে নিয়ে

কানাডার উইনিপেগের লরেন্স ক্যাম্পবেল তার প্রাক্তন প্রেয়সী ক্রিস্টাল এন ম্যাকেকে আদালতে নিয়েছেন, দাবি করেছেন যে তিনি তার ৫ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার (প্রায় ৪৪ কোটি টাকা) লটারির জয়পুরস্কার প্রেমিকের সঙ্গে নিয়ে পলায়ন করেছেন।

ক্যাম্পবেল জানিয়েছেন, তিনি ২০২৪ সালে জয়ের টিকিটটি কিনেছিলেন, কিন্তু বৈধ পরিচয়পত্র না থাকার কারণে নিজের নামে পুরস্কার দাবি করতে পারেননি। লটারির কর্মকর্তাদের পরামর্শে, তিনি তখনকার প্রেমিকা ক্রিস্টালকে ওয়েস্টার্ন কানাডা লটারি কর্পোরেশন (ডব্লিউসিএলসি) থেকে পুরস্কার সংগ্রহ করার জন্য বলেছেন।

ক্যাম্পবেল বলেছেন, তিনি ম্যাকের ওপর পূর্ণ আস্থা রেখেছিলেন। তারা দেড় বছরের বেশি সময় ধরে “বিশ্বস্ত, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সম্ভাবনাময় রোমান্টিক সম্পর্ক” চালাচ্ছিলেন এবং একসাথে বসবাস করছিলেন। যেহেতু তার নিজস্ব কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না, তাই পুরস্কার জেতার টাকা তিনি ম্যাকের নামে জমা দিতে অনুমতি দিয়েছিলেন।

শুরুতে সবকিছু ঠিকঠাক মনে হচ্ছিল। তারা শপার্স ড্রাগ মার্টে জয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে একটি ভিডিও ধারণ করেছিল এবং একটি বিশাল চেক নিয়ে প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে ছবি তুলেছিল। যদিও ছবিতে ম্যাক তেমন উচ্ছ্বসিত দেখাচ্ছিলেন না, তবুও জয়কে ক্যাম্পবেলের পক্ষ থেকে ম্যাকের জন্মদিনের উপহার হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল।

“তিনি তিন সপ্তাহ ধরে আমাকে লটারির টিকিট কিনতে বলছিলেন, কিন্তু আমি কখনও কিনিনি,” ক্যাম্পবেল বলেছেন। “একদিন আমরা যেখানে যাচ্ছিলাম সেখানে একটি দোকান দেখলাম, আমি ভাবলাম ‘ঠিক আছে, এখনই তোমার জন্য একটি টিকিট কিনে দিই।’”

কয়েক দিনের মধ্যে ম্যাক লুকিয়ে যায়। তিনি তাদের শেয়ার করা হোটেল রুমে ফিরে আসেননি এবং সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। যখন ক্যাম্পবেল তাকে খুঁজে পান, তখন তিনি “অন্য একজন পুরুষের সঙ্গে শোয়ার বিছানায়” ছিলেন, এমনটাই মামলায় উল্লেখ আছে।

“তিনি তাকে গুম করেন, তার ফোন কল বা মেসেজের জবাব দেননি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্লক করে দিয়েছেন; এমনকি সুরক্ষার জন্য আদালতে অর্ডারও নিয়েছেন,” ক্যাম্পবেলের আইনজীবী সিটিভি নিউজকে জানান।

ম্যাক সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, তার আইনজীবী নিশ্চিত করেছেন।

মানিটোবার কোর্ট অফ কিংস বেঞ্চে দায়ের করা ক্যাম্পবেলের মামলায় ওয়েস্টার্ন কানাডা লটারি কর্পোরেশন এবং মানিটোবা লিকুইর অ্যান্ড লটারিজকেও বিবাদী করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ওই সংস্থাগুলো তাকে সঠিক পরামর্শ দেয়নি এবং কাউকে তার পক্ষে পুরস্কার দাবি করতে দেয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেনি।

“এই মামলা হলো প্রতিষ্ঠিত সিস্টেমের বিরুদ্ধে প্রতিকারের লড়াই,” ক্যাম্পবেলের আইনজীবী বলেন। “একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, কিংবা অন্তত প্রতিষ্ঠানগুলো এমন পরিস্থিতি সৃষ্টিতে সাহায্য করেছে, যেটা মানিটোবায় রাজ্য-স্বত্ত্বাধীন লটারি কর্পোরেশনগুলো পরিচালনা করছে।”

সূত্র: https://www.ndtv.com/world-news/lawrence-campbell-canada-man-gives-girlfriend-rs-30-crore-lottery-winnings-she-runs-away-with-lover-8558741