
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ভাওরখোলা ইউনিয়নে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দরিদ্রদের মধ্যে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে তদন্তের আশ্বাস দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার
(ইউএনও) হ্যাপী দাস৷
সোমবার(০২ জুন) চাল বিতরণের সময় উপস্থিত সুবিধাভোগীদের কাছ থেকেই এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রত্যেক ভিজিএফ কার্ডধারীকে ১০ কেজি করে চাল বিনামূল্যে দেওয়ার কথা। তবে সরেজমিনে উপস্থিত সুবিধাভোগীদের দাবি, তাঁদের কেউ পেয়েছেন ৮ কেজি ৪০০ গ্রাম, কেউবা ৮ কেজি ৩০০ গ্রাম। অর্থাৎ প্রায় দেড় কেজি পর্যন্ত কম চাল দেওয়া হয়েছে।
ভাওরখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘চাল পরিমাপের ক্ষেত্রে সামান্য কমবেশি হতে পারে। গ্রাম পুলিশরাই চাল মেপে বিতরণ করেছে। আমি তখন অফিসের কাজে ব্যস্ত ছিলাম, তাই পুরো বিষয়টি আমার জানা ছিল না।’
ভাওরখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘চাল বিতরণের সময় আমি মানিকারচর বাজারে ছিলাম। ঘটনাটি সম্পর্কে তখন কিছু জানতে পারিনি। তবে বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি। যদি কেউ অনিয়ম করে থাকে, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে মেঘনা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হ্যাপী দাস বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, ভিজিএফ কর্মসূচির মাধ্যমে ঈদ উপলক্ষে দরিদ্র পরিবারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি কার্ডে ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতিটি বস্তায় ৫০ কেজি চাল থাকলেও বিতরণের সময় প্রতিটি কার্ডধারীকে নির্দিষ্ট ওজন নিশ্চিত করা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব। সেখানে কারচুপির ঘটনা শুধু আইনভঙ্গ নয়, মানবিকতাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে।
মুমু