ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভবিষ্যৎ সরকারের জন্য ১৮০ দিনের রোডম্যাপ দিল বিএনপি

এক কোটি মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি - বিএনপির প্রধান অঙ্গীকার

প্রকাশিত: ১৪:৫৯, ৪ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৫:০১, ৪ জুন ২০২৫

এক কোটি মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি -  বিএনপির প্রধান অঙ্গীকার

অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জনগণের আস্থা পুনর্গঠন এবং টেকসই ভবিষ্যতের ভিত্তি রচনায় প্রয়োজন স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক এবং উদ্ভাবনী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা—এই মর্মে আগামী দিনের সরকার পরিচালনায় একটি সাহসী ও দূরদর্শী পরিকল্পনার ঘোষণা দিল বিএনপি।

আজ বুধবার দুপুরে গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বাজেট (২০২৫–২৬) বিষয়ক  বক্তব্য রাখেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী । 

সম্মেলনে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জনগণের আস্থা পুনর্গঠন এবং টেকসই ভবিষ্যতের ভিত্তি রচনায় প্রয়োজন স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক এবং উদ্ভাবনী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা—এই মর্মে আগামী দিনের সরকার পরিচালনায় একটি সাহসী ও দূরদর্শী পরিকল্পনার ঘোষণা দেয় বিএনপি।

দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের আগেই সরকার গঠনের পর প্রথম ১৮০ দিনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। বিশ্বের অনেক গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসমূহ এমন কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করে থাকে। বাংলাদেশেও সে ধরনের একটি সংস্কৃতি প্রবর্তনের উদ্যোগ নিচ্ছে বিএনপি।

এই ৬ মাসের পরিকল্পনার ভিত্তিতে একটি অ্যাকশন-ওরিয়েন্টেড রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হবে। বিএনপি জানিয়েছে, নতুন সরকার গঠনের পর তারা যে সুনির্দিষ্ট খাতগুলোতে কাজ করবে, তা আগেভাগেই স্পষ্টভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। যার মধ্যে প্রধান হবে কর্মসংস্থান অঙ্গীকার । জনগণের ক্ষমতায়নের দল হিসেবে বিএনপির প্রথম ও প্রধান অঙ্গীকার—কর্মসংস্থান সৃষ্টি। দলটি সরকার গঠন করলে প্রথম এক কোটি মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

 আমির খসরু মাহমুদ বলেন -

বিএনপি’র প্রধান অঙ্গীকার কর্মসংস্থান সৃষ্টি।সরকার গঠন করলে এক কোটি মানুষের জন্য নতুন কর্মের সংস্থান করবে। বিএনপির অতীতে সাফল্যের উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব থাকাকালীন উন্নয়ন নীতির একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল - শ্রমঘন শিল্প স্থাপন করা। পাশাপাশি উদ্বৃত্ত শ্রমকে বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া। এতে করে নতুন নতুন মানুষের কর্মের সংস্থান হয়েছে।

শুধু তা–ই নয়, জনমানুষ এক শ্রমবাজার থেকে আরেক শ্রমবাজারে প্রবেশও করেছে। যেমন পোশাকশিল্পের বিকাশের কারণে কৃষিনির্ভর গ্রামীণ শ্রমবাজার থেকে মানুষজন পোশাক কারখানার শহরের দিকে যেতে শুরু করে। সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি শহুরে নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ শুরু হয়। এর সরাসরি প্রভাব আমাদের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে লক্ষ করা যায়।

সার্বিকভাবে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ছিল ২ থেকে ৩ শতাংশ। ১৯৯১-১৯৯৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪-৫ শতাংশে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ৬-৭ শতাংশ ছিল। সার্বিক উন্নয়ন ও নতুন কর্মসংস্থানের জন্য বিএনপি এবার দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৮ শতাংশ। মূলত ১০টি খাতকে সার্বিক উন্নয়ন তথা কর্মসংস্থানের জন্য বিএনপি পরিকল্পনা তৈরি করেছে।

এগুলো হচ্ছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ম্যানুফ্যাকচারিং, কৃষি, বিদেশে শ্রম রপ্তানি, আইসিটি ও ফ্রিল্যান্সিং, সেবা খাত, সবুজ জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং অন্যান্য।

 

সানজানা

×