ওবায়দুল কাদের দীর্ঘ সময় আত্মগোপনের পর নিজের অবস্থান নিয়ে কথা বললেন বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে । তিনি জানিয়েছেন, জুলাইয়ের গণ-আন্দোলনের পর তিনি কিভাবে আত্মরক্ষা করেছিলেন ।
সরকার পতনের পর বিভিন্ন জায়গায় বাসা বদল করে আত্মগোপনে ছিলেন কাদের।সরকারের পতনের দিন পাঁচই অগাস্ট তিনি সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবনে ছিলেন। আন্দোলনের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে অন্য একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন । তখন সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন। এক পর্যায়ে সেই বাড়িও আক্রমন হয়। তখন স্ত্রীসহ তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন বাথরুমে।
তিনি বললেন, "আমি একটু অনন্যোপায় হয়ে বাথরুমে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম।সেখানে অনেকক্ষণ থাকতে হয়েছে। একটা পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে যারা সেদিন এসেছিল আমাদের বাসাবাড়ি আক্রমণ করতে, অনেকে ভাঙচুর-লুটপাট করছে। "
ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, "এরা যখন সারা ঘরের সবকিছু লুটপাট ভাঙচুর করে, এতক্ষণ ধরে আমার ওয়াইফ তাদেরকে বাথরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে বারবার বলছিল আমি অসুস্থ। তারা প্রথমে বিষয়টিকে বিশ্বাস করে তারা অগ্রসর হয়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেটা বাস্তবে দেখলাম, ভেতরে যে কমোড এবং বেসিন- এটা তাদের টার্গেট। সেজন্য তারা জোর করে ঢোকার চেষ্টা করছিল।"
“আপনার প্রধানমন্ত্রী তো চলে গেছে, আপনি যাননি?” — এমন প্রশ্নে কাদের তখন নির্বাক। কোনো উত্তর দেন নি। হয়তো ভাবছিলেন, এই বুঝি শেষ মুহূর্ত। কিন্তু আন্দোলনকারীদের একটি দল তাকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছিলেন সেদিন।
সানজানা
