
ছবিঃ সংগৃহীত
অনেক সময় অজান্তেই জমির মূল দলিল হারিয়ে যায়, নষ্ট হয়, চুরি হয় কিংবা আগুনে পুড়ে যায়। এতে মালিকানার প্রমাণ নিয়ে পড়ে যেতে পারে বড় ধরনের আইনি জটিলতা। তবে এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে আইনসম্মত কিছু ধাপে পদক্ষেপ নিলেই এই সমস্যা সমাধান সম্ভব বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রথমে, দলিল হারিয়ে গেলে নিকটস্থ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। সেখানে দলিলের নম্বর, তারিখ, রেজিস্ট্রেশনের বিবরণ এবং কবে কোথায় দলিলটি হারিয়েছে তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হবে।
এরপর, ভবিষ্যৎ আইনি জটিলতা এড়াতে একটি স্থানীয় বা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা প্রয়োজন। এই বিজ্ঞপ্তিতে দলিলের পরিচিতিসহ যোগাযোগের তথ্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
পরবর্তী ধাপে, যেই সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে দলিলটি রেজিস্টার করা হয়েছিল, সেখানে গিয়ে সার্টিফায়েড কপির জন্য আবেদন করতে হবে। সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দলিল নম্বর ও তারিখ অনুযায়ী তাদের সংরক্ষিত রেকর্ড থেকে দলিলের একটি সত্যায়িত অনুলিপি (certified copy) সরবরাহ করবে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মূল দলিল না থাকলেও সার্টিফায়েড কপি, জিডির কপি এবং পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি একত্রে যথেষ্ট কার্যকর। এসব নথি ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া, নামজারি করা কিংবা আদালতে প্রমাণস্বরূপ দলিল উপস্থাপন করা সম্ভব।
তবে অনেক সময় দলিল নম্বর মনে না থাকলে সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে দলিল রেজিস্ট্রেশনের বছর, দাতা ও গ্রহীতার নাম ব্যবহার করে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বালাম বই থেকে তল্লাশি দিয়ে দলিল নম্বর সংগ্রহ করা যায়।
আইনজীবীরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ভবিষ্যতের জন্য সতর্কতা হিসেবে দলিলের স্ক্যান কপি বা ফটোকপি সংরক্ষণ করা উচিত, এবং মূল দলিলটি নিরাপদ স্থানে, যেমন ব্যাংকের লকারে অথবা বাসার নিরাপদ স্থানে রাখা বাঞ্ছনীয়।
মারিয়া