
বলিউডের তিন সুপারস্টার—আমির খান, শাহরুখ খান এবং সালমান খান—তাঁদের অভিনয়যাত্রা শুরু করেছিলেন প্রায় একসঙ্গে। তাই দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের মধ্যে তুলনার গল্প ঘোরে সিনেমাপ্রেমীদের মুখে মুখে। তবে আমির খান স্পষ্ট করে জানালেন, এখন আর তাঁদের মধ্যে কোনো প্রতিযোগিতা নেই। আর অতীতের প্রতিযোগিতাটাও ছিল একেবারে স্বাস্থ্যকর এবং ইতিবাচক।
রাজ শামানির পডকাস্টে আমির বলেন, “নব্বইয়ের দশকে আমাদের মধ্যে একটু-আধটু প্রতিযোগিতা ছিল ঠিকই—কে কতটা সফল হচ্ছে, কে দর্শকদের বেশি ভালোবাসা পাচ্ছে, এসব নিয়ে ভাবতাম। তবে আমি কখনোই নেতিবাচকভাবে কারও সাফল্যকে দেখিনি। বরং অন্যের ভালো কাজ আমাকে উৎসাহ দিত আরও ভালো কিছু করার।”
তিনি আরও বলেন, “আমি কারও সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিনি, করেছি নিজের সঙ্গে। চেষ্টা করেছি নিজেকে প্রতিনিয়ত ছাড়িয়ে যেতে।”
স্মৃতির পাতা উল্টে আমির খান জানান শাহরুখ খানের সঙ্গে এক সফরের কথা, যেটা ছিল দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে মুক্তির ঠিক পরের সময়। সফরে শাহরুখ নিজে একটি নতুন ল্যাপটপ কিনছিলেন, তখন বন্ধুর জন্য আরেকটি কিনে দেন। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হলো—তিনি সেটি কখনো ব্যবহারই করেননি!
“প্রযুক্তির ব্যাপারে আমি বরাবরই একটু দুর্বল। ল্যাপটপটা আমি চার বছর ধরে খোলাইনি! একদিন আমার ম্যানেজার এসে বলল, ‘স্যার, আমি কি এটা ব্যবহার করতে পারি?’ আমি তো অবাক! মনে করতে পারছিলাম না আমি একটা ল্যাপটপও কিনেছিলাম। তারপর দেখি—ওই ল্যাপটপ! চার বছর ধরে পড়ে থাকায় সেটা চালুই হচ্ছিল না,”—হাসতে হাসতে বলেন আমির।
তবে একটা বিষয় আমিরকে কষ্ট দেয়—সবসময় আলোচনায় শুধু তিন খানের নামই উঠে আসে, অথচ তাঁদের সময়ের অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা প্রায় উপেক্ষিত থেকে যান।
আমির বলেন, “অজয় দেবগন, অক্ষয় কুমার, হৃতিক রোশন—তাঁরাও আমাদের প্রজন্মের, এবং গত ৩০-৩৫ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে কাজ করছেন। তাঁদেরও সম্মান এবং স্বীকৃতি প্রাপ্য।”
Jahan