
ছবি: সংগৃহীত
চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য সফট স্কিল সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে প্রার্থীরা প্রায়ই এসব গুণাবলি উপেক্ষা করেন, কারণ তারা কেবল কারিগরি যোগ্যতার উপরই গুরুত্ব দেন। যোগাযোগ দক্ষতা, সমস্যা সমাধান এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা। এই গুণগুলো এমন কিছু যা অনেক সময় চাকরির বিবরণে উল্লিখিত টেকনিক্যাল স্কিলগুলো দেখার আগেই নিয়োগকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
চলুন জেনে নিই, ক্যারিয়ারে এগিয়ে যেতে যেসব সফট স্কিল ২০২৫ সালে শিখে নেওয়া জরুরি:
১. যোগাযোগ দক্ষতা: সফল প্রতিষ্ঠান কিংবা দল পরিচালনার জন্য কার্যকরভাবে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা অত্যাবশ্যক। শুধু মৌখিক বা লিখিত দক্ষতাই নয়, ‘অ্যাকটিভ লিসেনিং’ ও ‘নন-ভার্বাল’ কমিউনিকেশনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উন্নতির জন্য যেসব বিষয়ের উপর জোর দিতে পারেন: পরিষ্কার ও সংক্ষিপ্তভাবে নিজেকে প্রকাশ করা, সক্রিয়ভাবে শুনতে পারা এবং প্রতিক্রিয়া দেওয়া, আবেগ ও শরীরী ভাষার সচেতনতা।
২. সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা ও সমস্যা সমাধান: প্রত্যেক নিয়োগদাতা চান এমন প্রার্থী, যিনি ঝুঁকি বিশ্লেষণ করতে, সিদ্ধান্ত নিতে এবং কার্যকর সমাধান বের করতে পারেন। উন্নতির জন্য প্রাধান্য দিন: বিশ্লেষণধর্মী যুক্তি প্রয়োগ, কৌশলগত পরিকল্পনা, উদ্ভাবনী ও সমাধানমুখী চিন্তা
৩. ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স (EQ): নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অন্যের অনুভূতি বুঝে নেওয়ার ক্ষমতা—এটাই ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স। এটি কার্যকর যোগাযোগ, বিরোধ নিরসন এবং কর্মক্ষেত্রে সম্পর্ক গড়ার জন্য অপরিহার্য। উন্নতির মূল উপাদানগুলো: আত্ম-সচেতনতা ও আত্ম-নিয়ন্ত্রণ, সহানুভূতি ও আন্তঃব্যক্তিক সংবেদনশীলতা, বিরোধ নিষ্পত্তি এবং অভিযোজন ক্ষমতা
৪. দলগত কাজ ও সহযোগিতা: একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য দলের সদস্যদের একত্র হয়ে জ্ঞান, দক্ষতা ও মতামত ভাগাভাগি করার মানসিকতা থাকতে হয়। সফল প্রার্থী হতে হলে একসাথে কাজ করার মানসিকতা আবশ্যক।
উন্নতির জন্য মনোযোগ দিন: সহযোগিতা ও উদার মানসিকতা, গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া ও সহায়তা, দলের মধ্যে বিরোধ ব্যবস্থাপনা।
৫. পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা ও মানসিক দৃঢ়তা: চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া এবং চাপের মধ্যে উৎপাদনশীল থাকা—এই গুণটি আধুনিক কর্মক্ষেত্রে অপরিহার্য। উন্নতির উপায়: পরিবর্তনের প্রতি উন্মুক্ত মনোভাব, শেখার আগ্রহ, চাপ সহ্য করার সক্ষমতা ও ধৈর্য।
এই পাঁচটি সফট স্কিল শুধু কর্মক্ষেত্রে কার্যকারিতা বাড়ায় না, বরং একজন নেতার গুণাবলি বিকশিত করে এবং ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। এই দক্ষতাগুলো চর্চার মাধ্যমে অভ্যাসে পরিণত করা সম্ভব।
শহীদ