
ছবি: সংগৃহীত
ভারতে আবারও উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশটিতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১২০০ শতাংশ। ৩১ মে পর্যন্ত মোট সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩,৩৯৫ জন, যেখানে ২২ মে তা ছিল মাত্র ২৫৭।
এই হঠাৎ সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে বিশেষভাবে আক্রান্ত রাজ্যগুলো হচ্ছে কেরালা, মহারাষ্ট্র ও দিল্লি। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৮৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। মৃত্যুর মধ্যে রয়েছেন দিল্লির ৭১ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি যিনি নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন, কর্নাটকের ৬৩ বছর বয়সী এক রোগী, কেরালার ৫৯ বছর বয়সী ব্যক্তি এবং উত্তরপ্রদেশের মাত্র ২৩ বছর বয়সী এক যুবক।
ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (ICMR) জানিয়েছে, সংক্রমণের জিনোম বিশ্লেষণে ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। এই ভেরিয়েন্টই নতুন সংক্রমণ বৃদ্ধির মূল উৎস বলে মনে করা হচ্ছে।
ICMR প্রধান ড. রাজীব বেহেল বলেন, “সংক্রমণ প্রথমে দক্ষিণ ভারতে শুরু হলেও এখন তা পশ্চিম ও উত্তর ভারতেও ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও এখনো অধিকাংশ রোগী হালকা উপসর্গ নিয়ে সংক্রমিত হচ্ছেন, তবুও আমাদের সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে হবে।”
তিনি আরও জানান, তিনটি বিষয়ের উপর নজর রাখা জরুরি-সংক্রমণের বিস্তারগত হার, ভ্যাকসিন বা পূর্ববর্তী সংক্রমণের পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, রোগের তীব্রতা।
বর্তমানে পরিস্থিতি গুরুতর না হলেও, বিশেষজ্ঞরা আগাম সতর্কতার কথা বলছেন।
মুমু