
ছবি: প্রতীকী
যেসব জমির কোনো ব্যক্তি মালিক নেই, সেগুলো সরকারিভাবে ‘খাস জমি’ হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশ সরকার এসব জমি ভূমিহীনদের মাঝে দীর্ঘমেয়াদে লিজ দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। তবে এ জন্য কিছু শর্ত ও নির্ধারিত নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক।
কে পাবে খাস জমি?
সরকারি নীতিমতে, যাঁদের নিজ নামে জমি নেই অথবা ১০ শতকের কম জমি রয়েছে, কেবল তাঁরাই খাস জমির জন্য আবেদন করতে পারবেন। জমির খতিয়ান নম্বর অবশ্যই ০১ হতে হবে, যা খাস জমির চিহ্ন।
আবেদন কোথায় করবেন?
খাস জমি পেতে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে লিখিত আবেদন করতে হবে। যাচাই-বাছাই শেষে আবেদন মঞ্জুর হলে, সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে নামজারি বা খারিজের আবেদন করতে হয়।
মেয়াদ ও মালিকানা
নামজারি সম্পন্ন হলে ৯৯ বছরের জন্য জমিটি লিজ দেওয়া হয়। তবে এটি মালিকানা নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারাধিকার।
লাগবে কত খরচ?
নামজারির সরকারি ফি ১,১৭০ টাকা। অন্য কাগজপত্র বা যাচাই প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত খরচ হতে পারে, তবে সবই নির্ধারিত হার অনুযায়ী।
যে জমি খাস হতে পারে
নদীভাঙনের ফলে সৃষ্ট জমি (চর), পরিত্যক্ত জমি বা অনাবাদি সরকারি জমি খাস জমির আওতায় পড়ে। তবে এসব জমি জোরপূর্বক দখলে রাখা অবৈধ। আগে আবেদন, পরে অনুমোদন—এটাই নিয়ম।
যারা খাস জমির আবেদন করতে চান, তাদের ভূমিহীনতার প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখা জরুরি। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার (তহশিলদার) মাধ্যমে তথ্য নিতে পারেন।
রাকিব