ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ডা. শফিকুর রহমান

নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় মহান রবের শুকরিয়া আদায়

প্রকাশিত: ১৩:০৪, ১ জুন ২০২৫

নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় মহান রবের শুকরিয়া আদায়

ছবি: সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় মহান রবের শুকরিয়া আদায় করে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ১ জুন এক বিবৃতি প্রদান করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১ জুন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক সর্বসম্মত রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় আমরা মহান রবের শুকরিয়া আদায় করছি আল-হামদুলিল্লাহ। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় জুড়ে আইনি লড়াই-সংগ্রাম শেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দল হিসেবে আজ তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পেল। এই রায়ের মাধ্যমে আরও একটি জুলুম-নিপীড়নের অবসান হল। আপিল বিভাগের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বাধীন বাংলাদেশে ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮’ এর পূর্বে ও পরে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণমূলক সকল জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধিত্ব ছিল। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর ইসির সকল প্রক্রিয়া মেনে যথারীতি নিবন্ধিত হয়। এমতাবস্থায় একটি বিশেষ মহল ২৫/০১/২০০৯ খ্রীস্টাব্দ তারিখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল চেয়ে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট মামলা দায়ের করে। মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ ০১/০৮/২০১৩ খ্রীস্টাব্দ তারিখে এক বিভক্ত রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে দেন।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হাইকোর্ট বিভাগের উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করে। মহামান্য আপিল বিভাগ আজ সর্বসম্মত রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক দায়েরকৃত আপিলটি মঞ্জুর করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার আদেশ প্রদান করেন। আমরা আরও একবার মহান আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করছি আল-হামদুলিল্লাহ। এ দীর্ঘ সময় জুড়ে আইনি প্রক্রিয়ায় যে সমস্ত বিজ্ঞ আইনজীবীগণ ও সুধী-শুভাকাঙ্খীগণ বিভিন্নভাবে আমাদেরকে সহায়তা করেছেন, আমরা তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। 

তিনি আরও বলেন, আজকের রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হল এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হল। আমরা আশা করছি এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতি এক নতুন মাত্রা লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।

আবির

×