সংগৃহীত
অ্যাপল বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ এবং ওয়্যারলেস হেডফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। এই প্রযুক্তিগত পণ্যের সাফল্য তাদেরকে অত্যন্ত লাভজনক অবস্থানে নিয়ে গেছে। তবে প্রযুক্তি জগতের দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিবেশে টিকে থাকতে হলে অ্যাপলকে অবশ্যই "পরবর্তী বড় আবিষ্কার" উদ্ভাবন করতে হবে। অন্যথায় আগামী দশকে প্রতিষ্ঠানটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে পারে।
এই প্রেক্ষাপটে অ্যাপল ইতিমধ্যেই ভবিষ্যতের এক সম্ভাব্য পণ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছে, যেটি আইফোনের স্থান নিতে পারে — সেটি হলো স্মার্ট গ্লাস। এই লক্ষ্য অর্জনে অ্যাপল একটি দ্বিমুখী কৌশল গ্রহণ করেছে। একদিকে তারা অত্যাধুনিক একটি Vision হেডসেট তৈরি করতে চায়, যা দেখতে হবে একেবারে সাধারণ চশমার মতো, কিন্তু এতে থাকবে উন্নত প্রযুক্তি। অন্যদিকে, প্রযুক্তির অগ্রগতি প্রত্যাশার তুলনায় ধীরগতির হওয়ায় তারা একটি অপেক্ষাকৃত সহজ সংস্করণের স্মার্ট গ্লাস তৈরির পরিকল্পনা করছে, যা ২০২৬ সালের মধ্যেই বাজারে আসতে পারে।
এই সহজ সংস্করণে visionOS চালু থাকবে না এবং প্রথম প্রজন্মে হয়তো কোনো স্ক্রিনও থাকবে না। তবে এতে থাকবে Siri ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং অ্যাপলের উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহারে Visual Intelligence-এর সহায়তা। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আশেপাশের বস্তু শনাক্ত করা, দিক নির্দেশনা পাওয়া, ফোন কল করা, মিউজিক চালানো এবং অন্যান্য সাধারণ কাজ সম্পাদনের সুবিধা পাবেন।
তবে এই স্মার্ট গ্লাস Vision Pro-এর বিকল্প নয় বরং এটি একটি পরিপূরক পদক্ষেপ। অ্যাপলের লক্ষ্য হলো Vision Pro-কে সময়ের সাথে সাথে আরও ছোট ও সাশ্রয়ী করে তোলা এবং সহজ স্মার্ট গ্লাসে ধাপে ধাপে নতুন ফিচার যোগ করা। শেষপর্যন্ত এই দুটি প্রযুক্তির সম্মিলনে তৈরি হবে একটি পাতলা ও হালকা স্মার্ট গ্লাস, যা আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে আইফোনের স্থান গ্রহণ করতে সক্ষম হবে।
উপসংহারত বলা যায়, অ্যাপল ভবিষ্যতের জন্য এখনই প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্মার্ট গ্লাস প্রযুক্তিতে তাদের দ্বিমুখী কৌশল গ্রহণই প্রমাণ করে যে, আগামী দশকে প্রযুক্তি দুনিয়ার শীর্ষস্থান ধরে রাখার জন্য তারা সুপরিকল্পিত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আঁখি
