ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

‘প্রজেক্ট এসথার’: ট্রাম্প প্রশাসনের গোপন কৌশল?

প্রকাশিত: ০৮:১৪, ৩১ মে ২০২৫

‘প্রজেক্ট এসথার’: ট্রাম্প প্রশাসনের গোপন কৌশল?

ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী রক্ষণশীল থিংক ট্যাঙ্ক দ্য হেরিটেজ ফাউন্ডেশন গত বছর একটি নীতিমালা প্রকাশ করেছিল, যার লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিন সংহতি আন্দোলন ধ্বংস করা। সেই নীতিমালাটির নাম ‘প্রজেক্ট এসথার’।

প্রথমে এটি খুব বেশি নজর কাড়েনি, কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর সুপারিশ অনুসারে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এটি বর্তমানে মিডিয়া ও অধিকারকর্মীদের মধ্যে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে।

এই প্রকল্পে ফিলিস্তিনপন্থী গোষ্ঠী ও ছাত্র সংগঠনগুলিকে ‘হামাস সমর্থক নেটওয়ার্ক’ নামে অভিহিত করে বলা হয়েছে, তারা সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দিচ্ছে—যা মানবাধিকার কর্মীদের মতে ভিত্তিহীন ও মিথ্যাচার।

প্রজেক্ট এসথার কী?
এটি ২৪ মাসের মধ্যে তথাকথিত ‘হামাস সমর্থক নেটওয়ার্ক’কে ধ্বংস করার লক্ষ্যে একটি কৌশলগত নথি। এতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলন আসলে সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করছে, যদিও এমন কোনও নেটওয়ার্ক বাস্তবে বিদ্যমান নয়।

কীভাবে এই প্রকল্প কার্যকর হচ্ছে?
হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টোরিয়া কোয়েটস নিউইয়র্ক টাইমসকে জানান, তারা এখন প্রকল্পটির বিভিন্ন সুপারিশ বাস্তবায়নে কাজ করছে, যেমন—বিদেশি ছাত্রদের ভিসা বাতিল, ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অনুমতি না দেওয়া, এবং সামাজিক মাধ্যমে ‘বিরোধী কনটেন্ট’ নিয়ন্ত্রণ।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেন টার্গেট?
যুক্তরাষ্ট্রের তরুণদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন কমছে, আর ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন বাড়ছে—এই বাস্তবতায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে টার্গেট করা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন মিডল ইস্ট স্টাডিজ বিভাগগুলোকে ‘ইসরায়েল বিরোধী’ হিসেবে চিহ্নিত করে রদবদলের চাপ দিচ্ছে।

কী প্রভাব পড়ছে আন্দোলনে?
এই দমন নীতি সাময়িকভাবে কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ালেও, একই সঙ্গে এটি নতুন করে মানুষকে সচেতন ও প্রতিরোধী করে তুলছে। আন্দোলনের নেতারা বলছেন, ভয় দেখিয়ে আন্দোলন থামানো যাবে না।

সূত্রঃ আল-জাজিরা 

নোভা

আরো পড়ুন  

×