ছবি: সংগৃহীত
ভারতের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা জেনারেল অনিল চৌহান পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ভারতের বিমান ক্ষতির কথা স্বীকার করেছেন। তিনি শনিবার (৩১ মে) সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত শাংরি-লা ডায়ালগে ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ৭ মে অপারেশন সিন্ধুর প্রথম পর্যায়ে কিছু ক্ষতি হয়েছে। তবে পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী ছয়টি ভারতীয় বিমান ধ্বংস হওয়ার খবর তিনি 'সম্পূর্ণ ভুল' বলে উড়িয়ে দেন।
জেনারেল চৌহান বলেন, “বিমান ধ্বংস হওয়া নয়, বরং কেন তা ধ্বংস হয়েছে, কী ভুল হয়েছে—এটাই গুরুত্বপূর্ণ। সংখ্যা নয়, কারণ ও সংশোধনই মূল বিষয়।” তিনি আরও জানান, ৭ মে’র পর সেনাবাহিনী দ্রুত কৌশলগত ভুলগুলো বিশ্লেষণ করে তা সংশোধন করে এবং ৮ ও ১০ মে পাকিস্তানের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়।
পাকিস্তান দাবি করেছে, ৭ মে’র সংঘর্ষে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯, একটি সু-৩০এমকেআই এবং একটি আইএইচ হারন ড্রোন ধ্বংস করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই দাবি অস্বীকার করলেও, তাদের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষতি একটি স্বাভাবিক ঘটনা।”
জেনারেল চৌহান আরও বলেন, এই সংঘর্ষ কখনো পারমাণবিক যুদ্ধের কাছাকাছি পৌঁছায়নি। তিনি বলেন, “পারমাণবিক সীমারেখা নিয়ে আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, প্রচলিত যুদ্ধ ও পারমাণবিক সীমারেখার মধ্যে অনেক ফাঁকা জায়গা রয়েছে।” তিনি উল্লেখ করেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যোগাযোগের চ্যানেল সবসময় খোলা ছিল, যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় বিমান বাহিনী ৭ মে’র পর আর আকাশে উড়েনি। ভারতের পক্ষ থেকে এই দাবি অস্বীকার করা হলেও, তাদের মুখপাত্র জানান, “আমরা আমাদের উদ্দেশ্য অর্জন করেছি।”
এই সংঘর্ষে ভারত ৯টি সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ শিবিরে হামলা চালায়, যার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতীয় সামরিক স্থাপনাগুলোতে ড্রোন হামলা চালায়। ভারতীয় সেনাবাহিনী ১১টি গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটিতে ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
এই প্রথমবারের মতো ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংঘর্ষে বিমান ক্ষতির কথা স্বীকার করা হলো, যা উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
শিহাব
