
ছবিঃ সংগৃহীত
বছরের পর বছর ধরে চলা আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঠাকুরগাঁও জেলায় আওয়ামী লীগের শাসনামলে দায়ের করা ৬৬টি রাজনৈতিক মামলা অবশেষে নিষ্পত্তি পেয়েছে। এসব মামলাকে স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী ও নাগরিক সমাজ 'হয়রানিমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত' বলে দাবি করে আসছিল।
গতকাল ২৭ মে (বুধবার) স্থানীয় আদালতের এক আদেশে এ ৬৬টি মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। তালিকায় ঠাকুরগাঁও সদর, রুহিয়া, পীরগঞ্জ, হরিপুর, বালিয়াডাঙ্গীসহ জেলার বিভিন্ন থানার মামলা রয়েছে।
সম্প্রতি ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে একটি তালিকা প্রকাশিত হয়, যেখানে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ রয়েছে। মামলার নম্বর ও সাল, সংশ্লিষ্ট থানা (যেমন: রুহিয়া, পীরগঞ্জ, হরিপুর, বালিয়াডাঙ্গী ইত্যাদি)। রয়েছে আদালতে গৃহীত ধারা, মামলার পরবর্তী অবস্থাসহ নিষ্পত্তির আদেশ।
এই তালিকায় ঠাকুরগাঁও- ১ আসনের সাবেক সংসদ রমেশ চন্দ্র সেনের বাড়ি, রুহিয়া থানার অন্তত চারটি মামলা রয়েছে, যা দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চলছিল।
রুহিয়া বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক মানিকের ভাষায়, “দীর্ঘদিন ধরে এ মামলাগুলো আমাদের ঘাড়ে ছিল একটা তলোয়ারের মতো। আজ আদালতের মাধ্যমে সত্য প্রতিষ্ঠিত হলো।”
স্থানীয় একজন ভুক্তভোগী স্কুলশিক্ষক বাদল বলেন, “আমার নামে মামলা হয়েছিল শুধু একটা বিক্ষোভ মিছিলে দাঁড়ানোর কারণে। আজ মনে হচ্ছে মুক্তি পেলাম।”
ইউনুস সরকারের অধীনে গঠিত রাজনৈতিক মামলা পর্যালোচনা কমিটি ইতোমধ্যে সারাদেশে ৬,২৯৫টি মামলা যাচাই করে অধিকাংশকে হয়রানিমূলক হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই ঠাকুরগাঁওয়ের ৬৬টি মামলার নিষ্পত্তি ঘটেছে বলে জানা গেছে।
রুহিয়া থানার যেসব মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে তার মধ্যে ০১/১১/১৪ তারিখের ০৪/১৪ নম্বর একটি অন্যতম মামলার। ধারা, ১৪৩/১৪৭/১৮৬/৩২৩/৩৫৩/৫০৬ পেনাল কোড।
স্থানীয় আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন দেলু বলেন, এ ধরনের ধারায় সাধারণত রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ‘অবৈধ সমাবেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করে মামলা করা হতো।
নোভা