ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বৃষ্টির দিনে খিচুড়ির অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক কী?

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ২৯ মে ২০২৫

বৃষ্টির দিনে খিচুড়ির অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক কী?

সংগৃহীত

ঢাকার সড়ক থেকে গ্রামীণ আঙ্গিনায়, বর্ষার প্রতিটি ফোঁটায় গরম গরম খিচুড়ির ভাপ ছড়িয়ে যায় এখনো রেওয়াজটি বদলায়নি। বর্ষার মৃদু আওয়াজ ও ভাপা মাটির গন্ধের সঙ্গে খিচুড়ির চশমা মিশে যান একটি আপাত অভিন্ন মিলনে, যা সারাদিনের মাঝে স্বস্তি ও উষ্ণতা বেয়ে আনে।

খিচুড়ি বর্ষার সঙ্গে এত বছর ধারে অভিন্ন হয়ে আসর পেছনে রয়েছে আবহাওয়ার আরামদায়কতার সঙ্গে রেসিপিটির খাপ খাওয়ানো, চলতি বর্ষার দিনে বাজারে চাল–ডাল কিনে ঝক্কি ঝামেলা এড়িয়ে এক পাত্রেই পুষ্টিকর খাবার তৈরি করা, পরিবারের মিলন ছোঁয়া সামাজিক দিক, ও অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী হওয়া এসব কারণ একত্রে প্রথাটিকে ঘনিষ্ঠ বন্ধনে বেঁধে রেখেছে।

কৃষি নির্ভর গ্রামীণ সমাজে বৃষ্টির আগে–পরে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি বা ধানের শুষ্কতা নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও বসতবাড়িতে খিচুড়ি রান্নার মধ্য দিয়ে সবাই একসঙ্গে বসে খাবার ভাগাভাগি করে মনোবল জাগিয়ে তোলে। এলাকাভেদে লবণ–আচারের সঙ্গে ভিন্ন স্বাদের খিচুড়িও উপলব্ধ, যা বর্ষার বেলা খাবারে মিলন ঘটায়।

আবহাওয়াবিদদের মতে বর্ষার নির্জন দুপুর–রাতের ম্লান আবহাওয়ায় গরম খিচুড়ির স্বাচ্ছন্দ্য মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে, বিষণ্নতা দূর করে এবং শরীরকে অপরিহার্য কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন সরবরাহ করে। বহুবিধ অঞ্চলেই চাল–ডালের এই মিশ্রণটি রান্নার সহজলভ্যতা, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নি ও দ্রুত সেবনের জন্য বিবেচিত, তাই বৃষ্টির দিনে এটি “সেট অ্যান্ড ফরগেট” ডিশ হিসেবে জনপ্রিয়।

সুতরাং আর্তনাদ-গন্ধের বর্ষায় খিচুড়ি শুধু খাবার নয়, পশ্চাৎপদ–সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, সামাজিক বন্ধন ও মানসিক স্বাস্থ্য সমর্থনের এক স্মরণীয় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
 

হ্যাপী

×