
ছবি: জনকণ্ঠ
আটটি উপজেলায় জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় চাল, শুকনা খাবা, টিন ও নগদ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ দিকে পটুয়াখালীর উপকূলে আজ বৃষ্টি নেই বললেই চলে। সকাল থেকে আলো আধারির খেলা চলছে। কখন মেঘ কখনও রোদ। তবে বাতাস এবং বৃষ্টি না থাকলেও অস্বাভাবিক জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বেড়িবাঁধের বাইরের বসবাস করা মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। বন্ধ আছে অভ্যন্তরীণ রুটের ৬৫ ফুট দৈর্ঘ্যের লঞ্চ চলাচল।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলার পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকি, বাউফল, দমমিনা, গলাচিপা, রাঙ্গাবালি এবং কলাপাড়া উপজেলায় চাল, শুকনা খাবা, টিন ও নগদ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ সবের মধ্যে ৮৪ মেট্রিকটন চাল, নগদ ৩ লাখ করে টাকা, শুকনা খাবার ও ঢেউ টিনের জন্য প্রতি উপজেলায় ৯ লাখ করে টাকা বরাদ্দ দিয়েছে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ২৯ মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় (২৯ মে সকাল ৯ টা থেকে ৩০ মে সকাল ৯ টা) পর্যন্ত ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এদিকে নিম্নচাপ ও আমবস্যার প্রভাবে নদীতে জোয়ারের পানির চাপ আছে। ফলে জেলা সদরসহ আটটি উপজেলার নিন্মঞ্চল আজও পালবিত হয়েছে। কোন এলাকায় বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে পরে। গলাচিপা-রাঙ্গাবালি-কলাপাড়ায় ৩৫ গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পটুয়াখালী জেলা শহরের মহিলা কলেজ রোড, জুবিলি স্কুল রোড, পুরাতন হাসপাতাল, পুরানবাজার, চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়।
অপর দিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পল্লী বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়ার কারণে জেলার অনেক এলাকা গত ২ দিন ধরে বিদুৎ বিহীন অবস্থায় রয়েছে উপকূলের লক্ষ লক্ষ মানুষ।
নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. জাকির শাহারিয়ার জানান, অভ্যন্তরীণ নদীতে ২ নং সংকেত থাকার কারণে ৬৫ ফুটের নীচের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পটুয়াখালী-ঢাকা লঞ্চ যথারীতি চলাচল করবে।
সাব্বির