ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর

এটা নিয়ে কোন ইফ এন্ড বাট থাকার কথা নয়

প্রকাশিত: ১৫:০৯, ২৭ মে ২০২৫; আপডেট: ১৫:৩৪, ২৭ মে ২০২৫

এটা নিয়ে কোন ইফ এন্ড বাট থাকার কথা নয়

ছবি: সংগৃহীত

বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে। ইতোমধ্যে বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং যুক্তরাজ্যে থাকা কিছু সম্পত্তিও জব্দ করা হয়েছে।

তিনি জানান, অর্থপাচার রোধ এবং পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে অতীতে বাংলাদেশের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। তবে এখন আন্তঃমন্ত্রণালয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আইন ও বিধি সংশোধনের কাজ চলমান এবং টাস্কফোর্সের ক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “বিদেশীদের কাছ থেকে আমরা যথেষ্ট সহায়তা পাচ্ছি। যদি আমরা নিজেদের দিক থেকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারতাম, তাহলে ফল আরও ভালো হতে পারত। আমরা যে কোনো ফল পাচ্ছি না, তা নয়। তবে টাকা ফেরত পেতে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে—এটা স্পষ্ট। এটা নিয়ে কোন ইফ এন্ড বাট থাকার কথা নয়।”

তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবসায়িক হিসাব (বিজনেস অ্যাকাউন্ট) জব্দ করা হয়নি, শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট জব্দ হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে যেন বিঘ্ন না ঘটে, সে বিষয়েও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।

ব্যাংক খাত প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, “কিছু ব্যাংক মার্জারের আওতায় আসতে পারে, এমনকি অবসায়নেরও প্রয়োজন হতে পারে। তবে এটি সহজ নয়, এর জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন হবে। প্রথম ধাপে ইসলামী ব্যাংকগুলো মার্জারের মাধ্যমে সরকারের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এতে আমানতকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।”

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=2A1uo1Bjhq8

আবির

×