
মসলা কেজিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা
কোরবানির ঈদ এলেই সক্রিয় হয়ে ওঠে দেশের সর্ববৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে সিন্ডিকেট চক্র। ঈদের কয়েকমাস আগে কম দামে পণ্য আমদানির করলেও নানা অজুহাতে বাড়াতে দেখা যায় বাঙালির খাবারের অন্যতম অনুষঙ্গ মসলার দাম। এবারও একই পথে হাঁটছে সেই সিন্ডিকেট। অন্তত তিন থেকে চার মাস আগে আমদানি করা বিভিন্ন প্রকার মসলার দাম গেল এক সপ্তাহে বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। ভোক্তাদের অভিযোগ, কোরবানিতে মসলার চাহিদা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি থাকে।
তাকে পুঁজি করেই চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাড়িয়ে দিয়েছেন মসলাজাতীয় পণ্যের দাম। তবে সিন্ডিকেটের বিষয়টি অস্বীকার করে ডলার সংকট ও ডলারের দাম বাড়ার কারণে মসলার দাম অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরে জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত দেশে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিকটন মসলা জাতীয় পণ্য। ফলে চাহিদার বিপরীতে অতিরিক্ত আমদানি হওয়ায় এ মুহূর্তে বাজারে মসলার কোনো সংকট নেই বলে দাবি কাস্টমসের। অন্যদিকে প্রশাসন, ভোক্তা অধিকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এখন থেকেই বাজার তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব)।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) হিসাব মতে, দেশে প্রায় ৫০ ধরনের মসলা ব্যবহার হয়ে থাকে। বছরে মসলাজাতীয় পণ্যের চাহিদা ৩৫ লাখ মেট্রিকটনের বেশি। এর মধ্যে দেশে উৎপাদন হয় ২৭ লাখ মেট্রিকটনের বেশি। বাকি মসলা বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। এর মধ্যে অধিকাংশ মসলা স্থলপথে আমদানি করা হয় প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে। সমুদ্রপথে আসা সিংহভাগ মসলা দেশে প্রবেশ করে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে।
বাংলাদেশে মসলার বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার। আমদানিকৃত মসলার বাজার ৯০০ কোটি টাকার মতো। ঈদসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান ঘিরে দেশে বেড়ে যায় মসলার চাহিদাও।
সরেজমিনে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে লবঙ্গের দাম ছিল ১ হাজার ২০০ টাকা। শুক্রবার একই লবঙ্গ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি জিরা বিক্রি হয়েছিল মানভেদে ৫৫৭ টাকায়, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। গত সপ্তাহে যে বিক্রি হয়েছিল গোলমরিচ প্রতিকেজি ৭৫০ টাকায়, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়।
প্রতিকেজি দারুচিনি ৪০০ টাকা, হলুদ ৩৫০ টাকা, কালিজিরা ৩২০ টাকা, কিশমিশ ৮০০ টাকা, তেজপাতা ১২০ টাকা আর সাদা সরিষা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। কেজিতে ৫০ থেকে ৮০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি জয়ত্রী বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়। পাইকারি বাজারে ভালোমানের ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দামে। খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। যা আগে ছিল ৪০ টাকার কমে। তবে এলাচের দাম কিছুটা কমেছে। ৪ হাজার ৮০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা দরে।
অথচ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, এবার ঈদকে ঘিরে অনেক আগ থেকেই শুরু হয়েছে মসলার আমদানি। দপ্তরটির উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘এবার মসলা পণ্যের আমদানি বেড়েছে। এসব পণ্যের গুণগতমানও বেশ ভালো। আমদানিকারকরাও যথাসময়ে খালাস করে নিচ্ছেন।’
চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তারা জানান, গত দশ মাসে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে এক লাখ ৭০ হাজার ৮৩৪ দশমিক ৪২ মেট্রিক টনের কাছাকাছি মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি করা হয়েছে। রসুন আমদানি হয়েছে ৯৯ হাজার ৮৫ মেট্রিক টন। এলাচ আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৬১৪ দশমিক ৬ মেট্রিক টন, দারুচিনি ১০ হাজার ৫৪৩ মেট্রিক টন, লবঙ্গ ২ হাজার ১৫৪ মেট্রিক টন, জিরা ৩ হাজার ৭০ মেট্রিক টন, পেস্তাবাদাম মেট্রিক ৮২৭ টন, কেশিয়া পাউডার ৩৭ মেট্রিক টন, কিশমিশ ৪ হাজার ৮২৩ মেট্রিক টন, শাহী জিরা ২ টন, জয়ত্রী ২৯০ টন, কাবাব চিনি ২ টন, জায়ফল ২৭২ টন, কালিজিরা ৭ টন, গোলমরিচ ১ হাজার ৯ দশমিক ৭২ টন, মেথি ৭২ টন, আদা ২১ হাজার ১৯ টন, পেঁয়াজ ১৪ হাজার ৬৩ দশমিক ৬ টন, হলুদ ৪ হাজার ৩২৮ টন, শুকনা মরিচ ১৭৯ দশমিক ৭ টন, ওয়ালনট ১৭৫ টন, অনিয়ন পাউডার ৪৩৯ টন, জিনজার পাউডার ৩৭ দশমিক ৮ টন, গারলিক পাউডার ৭৩২ টন, পি-নাট ৮৮ টন, ড্রাই অনিয়ন লিভ ১৩৮, কোকোনাট ফ্যাট ৮৮৮, কেশিও নাট ৯৮৫, মৌরি আমদানি করা হয়েছে ৭১২ টন।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জুলাই মাসে (২০২৪) চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ৪১৮ মেট্রিকটন এলাচ। আগস্টে আমদানি হয়েছে ২২৭ মেট্রিকটন, সেপ্টেম্বরে ২৩৯ মেট্রিকটন, অক্টোবরে ১৩০ মেট্রিকটন, নভেম্বরে ১০০ মেট্রিকটন, ডিসেম্বরে ১ হাজার ৭০ মেট্রিকটন, জানুয়ারিতে ১৫ মেট্রিকটন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬১ মেট্রিকটন, মার্চে ১৫৬ মেট্রিকটন ও এপ্রিলে আমদানি হয়েছে প্রায় ৯৮ মেট্রিকটন এলাচ।
অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জুলাই মাসে (২০২৪) আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৭৬২ মেট্রিক টন দারুচিনি। আগস্টে আমদানি হয়েছে ১ হাজার ১৩৪ মেট্রিকটন, সেপ্টেম্বরে ৬৯৫ মেট্রিকটন, অক্টোবরে ৪৩২ মেট্রিক টন, নভেম্বরে ১ হাজার ৪০৩ মেট্রিক টন, ডিসেম্বরে ১ হাজার ৬৩৫ মেট্রিক টন, জানুয়ারিতে ৬৫৯ মেট্রিক টন, ফেব্রুয়ারিতে ৩১২ মেট্রিকটন, মার্চে ৭৬৮ মেট্রিকটন ও এপ্রিলে ১ হাজার ৩১৯ মেট্রিক টন দারুচিনি।
এছাড়া চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জুলাই মাসে (২০২৪) চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ১২৬ মেট্রিক টন লবঙ্গ। সেপ্টেম্বরে আমদানি হয়েছে ৮৮ মেট্রিক টন, অক্টোবরে ১৮৭ মেট্রিক টন, নভেম্বরে ১৭১ মেট্রিক টন, ডিসেম্বরে ৩৯২ মেট্রিক টন, জানুয়ারিতে ২৭৭ মেট্রিকটন, ফেব্রুয়ারিতে ৩২২ মেট্রিক টন, মার্চে ৩৯৬ মেট্রিক টন ও এপ্রিলে আমদানি হয়েছে প্রায় ১৯৫ মেট্রিক টন লবঙ্গ।
অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) আগস্ট মাসে (২০২৪) আমদানি হয়েছে ৪১ মেট্রিক টন জিরা। সেপ্টেম্বরে আমদানি হয়েছে ৫৪ মেট্রিকটন, অক্টোবরে ১০৫ মেট্রিকটন, নভেম্বরে ৫৬৬ মেট্রিকটন, ডিসেম্বরে ৫৯৫ মেট্রিকটন, জানুয়ারিতে ৯০৪ মেট্রি টন, ফেব্রুয়ারিতে ৭৮০ মেট্রিক টন, মার্চে ৩১৩ মেট্রিক টন ও এপ্রিলে ৩৪৪ মেট্রিক টন জিরা।
চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জুলাই মাসে (২০২৪) চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ৪৭ মেট্রিক টন জৈত্রিক। আগস্টে আমদানি হয়েছে ৩৬ মেট্রিকটন, সেপ্টেম্বরে ১৫ মেট্রিকটন, অক্টোবরে ১৫ মেট্রিক টন, নভেম্বরে ৩৮ মেট্রিকটন, ডিসেম্বরে ৩৫ মেট্রিকটন, জানুয়ারিতে ১২ মেট্রিকটন, ফেব্রুয়ারিতে ২৫ মেট্রিকটন, মার্চে ২৭ মেট্রিকটন ও এপ্রিলে আমদানি হয়েছে প্রায় ৪০ মেট্রিকটন জৈত্রিক।
অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জুলাই মাসে (২০২৪) আমদানি হয়েছে ৮০ মেট্রিকটন জয়ফল। আগস্টে আমদানি হয়েছে ৩৫ মেট্রিকটন, সেপ্টেম্বরে ৩৪ মেট্রিকটন, অক্টোবরে ৩২ মেট্রিকটন, নভেম্বরে ২৪ মেট্রিক টন, জানুয়ারিতে ৩০ মেট্রিকটন, ফেব্রুয়ারিতে ১১ মেট্রিকটন, মার্চে ১২ মেট্রিক টন ও এপ্রিলে ১৪ মেট্রিকটন জায়ফল।
এছাড়া চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জুলাই মাসে (২০২৪) চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ৩৭৩ মেট্রিকটন গোলমরিচ। আগস্ট মাসে আমদানি হয়েছে ১৩৬ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বরে ০.২২ মেট্রিক টন, অক্টোবরে ৪১ মেট্রিক টন, নভেম্বরে ৩৯ মেট্রিক টন, ডিসেম্বরে ৪৭ মেট্রিক টন, জানুয়ারিতে ৬৭ মেট্রিক টন, ফেব্রুয়ারিতে ৬১ মেট্রিক টন, মার্চে ১০০ মেট্রিকটন ও এপ্রিলে আমদানি হয়েছে প্রায় ১৪৫ মেট্রিক টন গোলমরিচ।
অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জুলাই মাসে (২০২৪) চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ৪ হাজার ৯২৩ মেট্রিকটন আদা। আগস্টে আমদানি হয়েছে ৬ হাজার ৭৬৪ মেট্রিকটন, সেপ্টেম্বরে ৪ হাজার ৩৬ মেট্রিকটন, অক্টোবরে ৮৬০ মেট্রিকটন, নভেম্বরে ৪৪৪ মেট্রিকটন, ডিসেম্বরে ৩৮৪ মেট্রিকটন, জানুয়ারিতে ৩১৪ মেট্রিকটন, ফেব্রুয়ারিতে ৬৭৫ মেট্রিকটন, মার্চে ৯৭৩ মেট্রিকটন ও এপ্রিলে আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৬৪১ মেট্রিকটন আদা।
চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জুলাই মাসে (২০২৪) চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ৯ হাজার ৬৮৭ মেট্রিকটন রসুন। আগস্টে আমদানি হয়েছে ৮ হাজার ৭৪৯ মেট্রিকটন, সেপ্টেম্বরে ১২ হাজার ২৩৮ মেট্রিকটন, অক্টোবরে ১২ হাজার ৪৭৫ মেট্রিকটন, নভেম্বরে ১২ হাজার ৪১১ মেট্রিকটন, ডিসেম্বরে ১৮ হাজার ৬১৪ মেট্রিকটন, জানুয়ারিতে ১০ হাজার ৪৯৩ মেট্রিকটন, ফেব্রুয়ারিতে ৬ হাজার ৯৮৪ মেট্রিকটন, মার্চে ৪ হাজার ৫৮২ মেট্রিকটন ও এপ্রিলে আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৬২৫ মেট্রিকটন রসুন।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের জয়েন্ট কমিশনার মোহাম্মদ মারুফুর রহমান বলেন, এই বছর পর্যাপ্ত পরিমাণে মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব কাস্টমস থেকে পণ্য খালাস করা হচ্ছে। যাতে বাজারে কোনো ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি না হয়।
খাতুনগঞ্জের মসলা ব্যবসায়ী জামশেদুর রহমান বলেন, নানা কারণে বাজারে কিছু কিছু মসলার দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও মসলার দাম বেড়েছে। মসলাকে বিলাসবহুল পণ্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই এ পণ্য আমদানিতে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি শুল্ক দিতে হয়। পাশাপাশি ডলারের দাম বাড়ায় মসলার বাজার চড়া।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের আইনবিষয়ক সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘কোরবানি সামনে রেখে মসলাজাতীয় পণ্যের পর্যাপ্ত আমদানি হয়েছে। মজুতও রয়েছে পর্যাপ্ত। তাই মসলার দাম কমতির দিকে রয়েছে। তবে এখনো প্রত্যাশিত বেচাবিক্রি শুরু হয়নি। ঈদের সময় ঘনিয়ে আসছে। আশা করছি সামনে কেনাবেচা বাড়বে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাতুনগঞ্জের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘খাতুনগঞ্জের মসলার বাজার ঘুরেফিরে নিয়ন্ত্রণ করেন হাতে গোনা কয়েকজন ব্যবসায়ী। তাদের মর্জির ওপর নির্ভর করে বাজারের উত্থান-পতন। তাদের কারসাজি সক্রিয় হলে অস্থির হয়ে উঠবে মসলার বাজার। তাই তাদের নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহার বেশি দিন বাকি নেই। তাই তারা বেশি মুনাফার লোভে এখন থেকেই মসলার বাজার চড়া করে রেখেছে। প্রশাসন, ভোক্তা অধিকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এখন থেকে বাজার তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। তবুও কেউ প্রতারণা বা ভোগান্তির শিকার হলে আমাদের কাছে অভিযোগ করার সুযোগ আছে। তাহলে আমরা নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি অভিযোগের ভিত্তিতেও অভিযান চালিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’