
ছবি: প্রতীকী
উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমি বা সম্পত্তি এখন আর মৌখিকভাবে ভাগাভাগি করে বসবাস করা যাবে না। এ বিষয়ে সুস্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে সরকার। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, জমি ভাগ করতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে ‘আপোষ বণ্টননামা দলিল’ করতে হবে। এই বিষয়ে সম্প্রতি এক ভিডিও বক্তব্যে বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন।
অ্যাডভোকেট বেলায়েত বলেন, ‘আগে অনেকেই মৌখিকভাবে বা নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় সম্পত্তি ভাগ করে নিয়ে বসবাস করতেন। কেউ বেশি জমি নিয়ে নিতেন, কেউ কম। কেউ আবার ওয়ারিশদের বাদ দিয়েই দলিল করে ফেলতেন। এসবের কারণে পরিবারে সৃষ্টি হতো দীর্ঘমেয়াদি ঝামেলা ও প্রতারণা।’
তিনি জানান, সরকার এখন ‘আপোষ বণ্টননামা দলিল’ বাধ্যতামূলক করেছে। এই দলিল ছাড়া নামজারি হবে না, খাজনা দেওয়া যাবে না এবং জমি বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না।
২০০৪ সালেই ‘আপোষ বণ্টননামা দলিল’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল, কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছিল না। ফলে সরকার এবং সাধারণ মানুষ উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। এখন ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এবং তার বিধিমালার মাধ্যমে এটিকে কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আপোষ বণ্টননামা দলিল ছাড়া জমি বিক্রি করবেন না, কিনবেন না। দলিল ছাড়া করা নামজারি বা হালনাগাদ রেকর্ড যেকোনো সময় বাতিল হয়ে যেতে পারে। এমনকি ২০-৩০ বছর পরেও কোনো ওয়ারিশ আদালতে মামলা করে জমি ফেরত নিতে পারেন।’
যদি কেউ আপোষ বণ্টননামা করতে রাজি না হন, তাহলে ভুক্তভোগী ওয়ারিশ ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩-এর ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ফৌজদারি আদালতে মামলা করতে পারবেন। তবে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, ‘আইন না মেনে ভাগাভাগি করলে, যেকোনো সময় সমস্যা হতে পারে।’
করণীয় কী?
- সকল ওয়ারিশদের সম্মতিতে ‘আপোষ বণ্টননামা দলিল’ করুন।
- দলিলটি সাবরেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি করুন।
- এরপর করুন নামজারি ও রেকর্ড সংশোধন।
- জমি বিক্রির আগে দলিল নিশ্চিত করুন।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=Q6og_i24tg0
রাকিব