
ছবিঃ সংগৃহীত
কিডনিতে পাথর হওয়া আমাদের দেশে ও বিশ্বব্যাপী একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। আমাদের শরীরে যেসব খনিজ উপাদান বিভিন্নভাবে প্রবেশ করে, সেগুলোর একটি অংশ প্রস্রাবের মাধ্যমে নির্গত হয়। তবে, যখন কোনো কারণে এই খনিজ উপাদানের ঘনত্ব বেড়ে যায়, তখন তা কিডনি ও মূত্রথলিতে জমা হয়ে ছোট ছোট পাথরের সৃষ্টি করে।
উন্নত দেশগুলিতে প্রায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক এই সমস্যায় আক্রান্ত হন। যদিও ৮০ শতাংশের বেশি ক্ষেত্রে এই রোগ মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করে না, তারপরও অধিকাংশ সময়ে ব্যথা বা অশ্রুপচারের (non-invasive techniques) মাধ্যমে পাথর বের করতে হয়।
কাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেশি?
-
সাধারণত পুরুষদের নারীদের চেয়ে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
-
স্থূলতা ও অতিরিক্ত ওজন কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
-
৪০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়।
-
অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার ও অপর্যাপ্ত পানি পান এই সমস্যার একটি বড় কারণ।
-
শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলেও পাথর তৈরি হতে পারে।
-
অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার যেমন—বাদাম, চকলেট, পালংশাক, বিট, চা ও কফি—বেশি খেলে পাথরের ঝুঁকি বাড়ে।
-
ইউরিক এসিড বেড়ে গেলে তা থেকেও পাথর সৃষ্টি হতে পারে, বিশেষ করে যারা প্রাণিজ আমিষ বেশি খান তাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
-
কেউ কেউ বংশগতভাবে কিডনিতে পাথরের প্রবণতা নিয়ে জন্মান, তাদের ক্ষেত্রেও এই ঝুঁকি থেকে যায়।
পর্যাপ্ত পানি পান, সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা—এই কয়েকটি অভ্যাস মেনে চললে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
ইমরান