ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

‘এটি না থাকলে বেঁচে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ত’, গাজায় খাদ্যের জন্য ৫-৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করা বৃদ্ধা

প্রকাশিত: ০২:৩৩, ২৯ মে ২০২৫; আপডেট: ০২:৩৫, ২৯ মে ২০২৫

‘এটি না থাকলে বেঁচে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ত’, গাজায় খাদ্যের জন্য ৫-৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করা বৃদ্ধা

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা শহরের বাসিন্দা লিনা আবু শাহাবান বলেন, ‘এই কমিউনিটি কিচেন না থাকলে আমাদের বেঁচে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ত।’ ইসরায়েলের অবরোধে সৃষ্ট তীব্র খাদ্য সংকটে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে শুধু একবেলা খাবার পাওয়ার অপেক্ষা করেন তিনি।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিনা বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে আমি পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা অপেক্ষা করি। শুধু একবাটি খাবারের জন্য। আর প্রতিটি মুহূর্তে ভয় পাইকখন যেন বোমা পড়ে।’

এই কমিউনিটি কিচেনটি গাজা শহরের একটি স্কুলে গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে বাস্তুচ্যুত মানুষজন আশ্রয় নিয়েছেন। ঠিক সেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক নারী, উম আহমাদ আল-সায়ফি জানান, তাঁর পরিবারের আর কোনো উপায় নেই। ‘আমরা চরম অভাবের মধ্যে আছি। এই কিচেন ছাড়া কোথাও খাবার নেই।’

ইসরায়েলের হামলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ওরা আমাদের খাবার কেন্দ্রেই বোমা ফেলেচায় যেন আমরা ক্ষুধায় মরি। কদিন আগেই আমি নিজের চোখে দেখেছি, একটি রান্নাঘরে বোমা পড়েছে। শিশুরা পুড়ছিল। ওরা কেন চায় না আমরা বাঁচি?’

গাজার বাসিন্দাদের এই করুণ বাস্তবতা আবারও সামনে নিয়ে এসেছে, ইসরায়েলের লাগাতার অবরোধ ও হামলার ফলে কীভাবে একটিমাত্র কমিউনিটি কিচেন এখন শত শত মানুষের জীবনরক্ষাকারী হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

সূত্র: আল জাজিরা।

রাকিব

×