
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড বলেছেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে একটা বড় অংশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা ছিল শেখ হাসিনার পতনের পাশাপাশি শেখ হাসিনার যে ব্যবস্থা, যে হাসিনাগিরি, সেই হাসিনাগিরিরও একটা পরিবর্তন ঘটবে।’
গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই পরবর্তীতে যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে নাই, যারা আসলে ফ্যাসিবাদের বিপরীতে নিজের একটা ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চেয়েছে মনে মনে, তাদের সাথে তো আসলে গণতন্ত্রকামীদের ঐক্য সম্ভব না।’
‘ঐক্য হতে গেলে চিন্তা, রাজনৈতিক দর্শন, কর্ম ও সংস্কৃতিরও ঐক্য থাকতে হয়’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এখন মননে-মগজে, ব্যবহারিক চর্চায় যাদের ফ্যাসিবাদ, যাদের হাসিনাগিরি, তাদের সাথে গণতান্ত্রিক শক্তির তো আসলে কোনোভাবেই মিল হওয়া সম্ভব না।’
মশিউর রহমান খান রিচার্ড আরও বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছিল, তা হয়েছিল একটা কমন এনিমিকে (শত্রু) সামনে রেখে। দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদের যে অত্যাচার-অন্যায়-নিষ্পেষণ, তার বিরুদ্ধে জনগণের যে বিস্ফোরণ সেখানে রাজনৈতিক শক্তিগুলো একটা ছায়ায় এসে দাঁড়িয়েছিল।’
‘এটা একটা দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের ফলাফল এবং চরম আত্মত্যাগের ফলাফল। এখানে ঐক্য তৈরি হয়েছিল আবেগের একটা বন্ধনে। কিন্তু এটাকে পুঁজি করে জুলাই পরবর্তীতে আমরা দেখলাম যে, একটা নব্য শ্রেণি তৈরি হলো। মুক্তিযুদ্ধকে যেভাবে আওয়ামী লীগ কুক্ষিগত করেছিল, ঠিক তারাও একইভাবে জুলাইয়ে জনগণের যে অর্জন, জনগণের যে উত্থান, সেটাকে তারা তাদের পকেটে কুক্ষিগত করতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘যখন কেউ একটা সামষ্টিক অর্জনকে নিজের পক্ষে কুক্ষিগত করতে চায়, তখন কিন্তু এমনিতেই একটা বিভাজনের পরিবেশ তৈরি হয় এবং এই বিভক্তি এবং বিভাজনের পরিবেশ তারা তৈরি করেছে যারা জুলাইয়ের তথাকথিত মাস্টারমাইন্ড হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন, সেটা ফরমাললি কিংবা ইনফরমাললি। ফলে আজকে এই পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য প্রধানত তারা দায়ী, যারা এখানে গণতন্ত্রের বিপরীতে পুরনো হাসিনার কায়দায় নব্য ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চাচ্ছে। ফ্যাসিবাদ বনাম গণতন্ত্রের যে রাজনৈতিক লড়াই, এই লড়াই এখনো চলমান আছে।’
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=MLxIlcMT4fI
রাকিব