
ছবি: সংগৃহীত
যোগব্যায়াম আজ বিশ্বব্যাপী একটি জনপ্রিয় অনুশীলন হয়ে উঠেছে, যা শরীর ও মনকে একত্রে শক্তিশালী করে তোলে। এর অসংখ্য উপকারিতার মধ্যে হাঁটুর ব্যথা উপশম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। নিয়মিত যোগ অভ্যাসে হাঁটুর চারপাশের পেশি শক্তিশালী হয় এবং ব্যথা অনেকটাই কমে আসে, ওষুধের বিকল্প হিসেবে এটি একটি নিরাপদ পন্থা।
যোগব্যায়াম কীভাবে হাঁটুর ব্যথা কমায়
সঠিক যোগভঙ্গি বা আসন—
-
হাঁটুর চারপাশের পেশি শক্তিশালী করে
-
অস্থিসন্ধির স্থিতিশীলতা বাড়ায়
-
চাপ ও উত্তেজনা দূর করে
-
নমনীয়তা ও চলাচলক্ষমতা বৃদ্ধি করে
তবে মনে রাখতে হবে, যেকোনো আঘাত বা অস্ত্রোপচারের পর ঝুঁকিপূর্ণ আসন এড়ানো উচিত।
হাঁটুর ব্যথার সাধারণ কারণসমূহ
-
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা বা একই ভঙ্গিতে থাকা
-
আর্থ্রাইটিস
-
মেনোপজ
-
চোট বা ছিঁড়ে যাওয়া
-
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
-
স্থূলতা
-
অস্ত্রোপচারের পরবর্তী পুনরুদ্ধার
-
বার্ধক্য
-
অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম
হাঁটুর ব্যথা কমাতে যোগের উপকারিতা
যোগব্যায়াম শুধু ব্যথা উপশমেই নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে আরোগ্যেও সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত রোগীরা মাত্র দুই সপ্তাহের নিয়মিত যোগ অভ্যাসে ব্যথা কমেছে ও চলাফেরায় স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করেছেন।
হাঁটুর ব্যথার জন্য ৭টি কার্যকর যোগাসন
১. সেতুবন্ধ আসন
হাঁটুর আশেপাশের পেশিকে শক্তিশালী করে ও দেহে উদ্যম জোগায়।
পরামর্শ: শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মনোযোগ দিন।
২. ত্রিকোণ আসন
হাঁটুর চারপাশের কোষ ও পেশির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে।
৩. কাঠের আসন
শরীরের ওজন নিতম্বে স্থানান্তরিত করে হাঁটুর চাপ কমায় ও উরু-পেশিকে মজবুত করে।
৪. বালাসন (শিশু আসন)
একটি বিশ্রামের ভঙ্গি যা শরীরের চাপ কমায়, বার্ধক্যজনিত হাঁটুর ব্যথায় উপকারী।
৫. বীর আসন (যোদ্ধা ভঙ্গি)
হাঁটুর স্থিতিশীলতা বাড়ায় ও হাঁটুর চারপাশের পেশি টোন করে।
৬. উচ্চ লঞ্জ আসন
পায়ের ভারসাম্য, পেছনের দিক, বাহু ও পেটের পেশি শক্তিশালী করে।
৭. নিম্ন লঞ্জ আসন
উরু ও কোমরের পেশি শক্তিশালী করে এবং কুঁচকির চাপ হ্রাস করে।
পরিশেষে, যোগব্যায়ামকে প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত করলে হাঁটুর ব্যথা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে। এ ধরনের সহযোগিতার জন্য ফিজিওতত্ত্ব প্ল্যাটফর্ম সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।শ
আবির