ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কিডনি সুস্থ রাখতে রোজ খেতে হবে এই ৫টি ঘরোয়া খাবার!

প্রকাশিত: ১৪:০৫, ১ জুন ২০২৫

কিডনি সুস্থ রাখতে রোজ খেতে হবে এই ৫টি ঘরোয়া খাবার!

কিডনি হয়তো শরীরের সবচেয়ে আলোচিত অঙ্গ নয়, কিন্তু এই দুটো ছোট্ট বীনাকৃতি অঙ্গ প্রতিদিন নিরবেই পালন করছে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ। শরীরের পানি ও লবণের ভারসাম্য রক্ষা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং বর্জ্য ছেঁকে বের করে দেওয়ার মতো দায়িত্বশীল কাজগুলোই করে কিডনি। প্রচুর পানি পান করাই কেবল যথেষ্ট নয়, সঠিক খাবার নির্বাচন করাও কিডনির সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ভাগ্য ভালো যে, আমাদের রান্নাঘরেই রয়েছে এমন কিছু সাধারণ খাবার, যেগুলো কেবল স্বাদেই অনন্য নয়, কিডনির স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। ঠান্ডা-প্রবণ সবজি থেকে শুরু করে পুষ্টিকর শস্য এসব খাবার কিডনির ওপর চাপ না বাড়িয়ে বরং স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কোন পাঁচটি উপাদান রাখলে প্রাকৃতিকভাবে কিডনির যত্ন নেওয়া সম্ভব।

লাউ
পানি-সমৃদ্ধ, ঠান্ডা প্রকৃতির এবং সহজপাচ্য লাউ কিডনির জন্য একদম আদর্শ সবজি। এতে পানি থাকায় শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এবং কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ কমায়। হালকা তরকারি, স্যুপ কিংবা জুস—যেকোনোভাবে খেলে কিডনি থাকবে হালকা ও স্বস্তিতে।

লাল চাল
সাধারণ সাদা চালের তুলনায় লাল চালে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেক বেশি। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, ফলে হজমে সহজ এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। এতে শক্তি পাওয়া গেলেও কিডনির ওপর বাড়তি চাপ পড়ে না, বরং হজমে সহায়তা করে।

ধনেপাতা ও ধনে
শুধু রান্নার গার্নিশ নয়, ধনেপাতা ও ধনে উভয়ই কিডনি পরিষ্কারে কার্যকর। ধনে ভেজানো পানি প্রাচীনকাল থেকেই কিডনি ভালো রাখতে এবং ফোলাভাব কমাতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি প্রাকৃতিকভাবে শরীরের বর্জ্য বের করে দেয় এবং পানি ধরে রাখার প্রবণতা হ্রাস করে। ধনে-ধনেপাতায় থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষাতেও সহায়তা করে।

হলুদ
সোনালি এই মসলা দীর্ঘদিন ধরেই তার প্রদাহনাশক গুণের জন্য পরিচিত। রান্নায় এক চিমটি হলুদ শুধু রঙ ও স্বাদই বাড়ায় না, শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রদাহ কমাতেও কাজ করে যার মধ্যে কিডনিও রয়েছে। প্রতিদিনের ডাল, সবজি কিংবা গরম দুধে হলুদ ব্যবহার করলে কিডনিকে মৃদু কিন্তু নিয়মিত সহায়তা দেওয়া যায়।

আপেল
মিষ্টি, খাস্তা এবং প্রাকৃতিকভাবে কম পটাশিয়ামযুক্ত আপেল কিডনি সুস্থ রাখতে আদর্শ ফল। এটি কোলেস্টেরল কমাতে, ফোলাভাব হ্রাস করতে এবং হজমে সহায়তা করে যার ফলে কিডনিও স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে। প্রতিদিন একটি কাঁচা আপেল খাওয়া কিংবা সালাদে কিছু টুকরো যোগ করলেই কিডনি পায় প্রাকৃতিক সহায়তা।


কিডনির যত্ন নিতে আলাদা করে কঠিন কিছু করতে হয় না। দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় এই সাধারণ কিন্তু কার্যকর উপাদানগুলো অন্তর্ভুক্ত করলেই প্রাকৃতিকভাবে কিডনি থাকবে সুরক্ষিত ও কর্মক্ষম। স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং সঠিক খাদ্যই হতে পারে সুস্থ কিডনির দীর্ঘমেয়াদি চাবিকাঠি।

 

 


সূত্র:https://tinyurl.com/mtwdp9cj

আফরোজা

×