
ছবি: সংগৃহীত
শিশুর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশে প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনা ও যত্ন। শুধুমাত্র পুষ্টিকর খাদ্য বা সঠিক চিকিৎসা নয়, একটি শিশুর সামগ্রিক বিকাশ নিশ্চিত করতে হলে শুরু থেকেই তার যথাযথ পরিচর্যা ও পারিবারিক সহানুভূতির বিকল্প নেই বলে মত দিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা।
বারডেম জেনারেল হাসপাতালের এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, "শিশুর জন্মের পর থেকেই তার বৃদ্ধি ও বিকাশের বিভিন্ন ধাপ থাকে। প্রতিটি ধাপে প্রয়োজন ভিন্ন ধরণের যত্ন ও মনোযোগ। ভুল দিকনির্দেশনায় শিশুর বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন হওয়া খুব জরুরি।"
তিনি আরও বলেন, "শিশুর বিকাশ শুধু পড়াশোনা বা খেলাধুলায় সীমাবদ্ধ নয়। তার আবেগ, বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতা, সামাজিক আচরণ—সবকিছুতেই একটি ভারসাম্য থাকা জরুরি। এজন্য সময়োপযোগী চিকিৎসা, সঠিক পুষ্টি এবং একটি সহানুভূতিশীল পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আধুনিক জীবনযাত্রার প্রভাবে অনেক সময় শিশুর বিকাশ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার, পারিবারিক সময়ের অভাব ও মানসিক চাপ শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
এ বিষয়ে ডা. মোল্লা বলেন, "শিশুর সঙ্গে কথা বলা, খেলাধুলায় অংশ নেওয়া ও তার অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করা—এগুলো একধরনের মানসিক পুষ্টি, যা শিশুর আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে। অভিভাবকরা যদি এই বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগী হন, তাহলে শিশুর বিকাশ আরও সুস্থ ও সুষ্ঠুভাবে হবে।"
শিশুর ভবিষ্যৎ গঠনে আজকের সিদ্ধান্তই বড় ভূমিকা রাখে—এই বার্তাই দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আসিফ