
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় জরুরি ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ভ্যাকসিনের মারাত্মক ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজায় বর্তমানে ৪৩ শতাংশ জরুরি ওষুধ, ৬৪ শতাংশ চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ৪২ শতাংশ ভ্যাকসিন পুরোপুরি মজুদশূন্য অবস্থায় রয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) জেনেভায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ডব্লিউএইচও’র পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের জরুরি পরিচালক আহমেদ জুইতেন।
তিনি বলেন, ‘গুরুতর ও দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় ভোগা রোগীরা—যেমন কিডনি ফেইলিউর, ক্যান্সার, রক্তজনিত রোগ ও হৃদরোগে আক্রান্তরা—এই সংকটে সবচেয়ে বেশি ভুগছেন।’
ডব্লিউএইচওর পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় আঞ্চলিক পরিচালক হানান বালখি জানান, এখনো পর্যন্ত ডব্লিউএইচও’র কোনো ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘আরিশ ও পশ্চিম তীরে আমাদের ৫১টি ট্রাক অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।’
‘শূন্য মজুদ’ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বালখি বলেন, ‘একজন সার্জন যদি ভাঙা হাড় ঠিক করতে চান, কিন্তু তার কাছে না থাকে অ্যানেস্থেসিয়া, জীবাণুমুক্তকরণ ব্যবস্থা, কিংবা স্যালাইন, সুচ বা ব্যান্ডেজ—তাহলে কীভাবে সম্ভব? এই মৌলিক সরঞ্জামগুলোই নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংঘাত চলাকালীনও অনেক রোগী উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা মানসিক রোগে ভুগছেন। তারা চিকিৎসার জন্য ন্যূনতম ওষুধ পাচ্ছেন না। এমনকি সাধারণ ব্যথানাশক ও অ্যান্টিবায়োটিকও এখন বিলুপ্তপ্রায়।’
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল গত অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৫৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
সূত্র: আনাদোলু।
রাকিব