
অনেকেই ভাবেন, ডায়াবেটিস একবার হলে তা সারাজীবনের রোগ। তবে সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো বলছে সঠিক জীবনধারা, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও খাবারে সচেতনতা রাখলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস থেকে "রিমিশন" (রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকা) সম্ভব। একে অনেকে "সম্পূর্ণ মুক্তি" বলে থাকেন, যদিও চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে রিমিশন বলা হয়, নিরাময় (Cure) নয়।
ডায়াবেটিস রিমিশনের প্রধান উপায়গুলো:
-
ওজন কমানো:
গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরের ১০-১৫% ওজন কমালে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রিমিশনে যেতে পারে। বিশেষ করে যাদের পেটের মেদ বেশি। -
কম ক্যালোরির ডায়েট:
দিনে ৮০০-১২০০ ক্যালোরির একটি পরিকল্পিত ডায়েট শরীরে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়।
🔹 শাকসবজি
🔹 উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার
🔹 চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার বর্জন -
নিয়মিত ব্যায়াম:
সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটা, সাঁতার, সাইক্লিং বা জিম করলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে। -
ঘুম ও স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ:
পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখলে ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স কমে। -
ওষুধ ও ইনসুলিন বন্ধ হতে পারে:
অনেক ক্ষেত্রে রিমিশনের পর ওষুধ ছাড়াই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া কখনই ওষুধ বন্ধ করবেন না।
তবে মনে রাখবেন:
-
টাইপ-১ ডায়াবেটিস কখনোই সম্পূর্ণভাবে দূর হয় না। এটি একটি অটোইমিউন রোগ।
-
টাইপ-২ ডায়াবেটিস রিমিশনে গেলেও তা ফিরে আসতে পারে, যদি জীবনধারায় আবার অবহেলা হয়।
-
ডায়াবেটিস রিমিশন অর্জন মানেই সারাজীবন সতর্ক থাকতে হবে।
🩺 চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ‘চমকপ্রদ ডায়াবেটিস ফ্রি’ ট্যাগে বিভ্রান্ত হবেন না।
ডায়াবেটিস থেকে "কমপ্লিট ফ্রি" হওয়ার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা, জীবনযাত্রা পরিবর্তন করা এবং সতর্কভাবে দীর্ঘস্থায়ী সুস্থতা বজায় রাখা।
এটাই ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় বিজয়।
সায়মা