ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মরুর বুকে সবজি চাষে বাংলাদেশিদের সফলতা

বিলাল উদ্দিন, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, কুয়েত

প্রকাশিত: ০৯:০৬, ২৬ মে ২০২৫

মরুর বুকে সবজি চাষে বাংলাদেশিদের সফলতা

ছবি: জনকণ্ঠ, বাংলাদেশিদের হাতের ছোঁয়ায়  কুয়েতের মরু অঞ্চল ওফরা

সবুজের সমারোহে ভরপুর। বাংলাদেশিরা ধৈর্য্য, মেধা পরিশ্রম দিয়ে দেশি-বিদেশি নানা জাতের শাক-সবজি ফলমূল ফলান কুয়েতের মরু অঞ্চল ওফরায়। এখান থেকে উৎপাদিত ফসল কুয়েত সেন্ট্রাল সবজি মার্কেটে সুপারশপগুলোতে বিক্রি করা হয়।

অনেক বাংলাদেশি স্থানীয় কুয়েতিদের থেকে মাজরাগুলো ইজারা নিয়ে শ্রমিক দিয়ে কাজ করান। তেমনি একজন সিলেট মৌলভীবাজার কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা মাহমুদ আলী দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত মাজরার সুপারভাইজারের দায়িত্ব পালন করছেন। তার অধীনে ১৫-২০ জন বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করছেন।

বিভিন্ন জাতের শাক-সবজি চাষাবাদ করা হয় সেখানে। জসিম হাওলাদার নামের একজন শ্রমিক জানান, বাংলাদেশীদের ভিসা বন্ধ থাকায় লোকবলের অভাবে অনেক জায়গা অনাবাদি রয়েছে।  কৃষি কাজে যারা কাজ করে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ বাংলাদেশি।

দেশটিতে কৃষিতে অন্যদেশের চেয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকের কাজের দক্ষতা সুনাম রয়েছে। বাংলাদেশিরা যেভাবে মেধা পরিশ্রম করে মরুর বুকে নানা জাতের শাক-সবজি ফলমূল ফলায় তাতে মাজারার মালিক স্থানীয়রা সন্তুষ্ট। বাংলাদেশ সরকার উদ্যোগ নিলে এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে কূটনৈতিক চেষ্টার মাধ্যমে কৃষি খাতে কম খরচে সরকারিভাবে দেশটিতে শ্রমিক পাঠাতে পারে। তাহলে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাবে। যা বর্তমান দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ভূমিকা রাখবে।

মাজারায় কৃষি কাজে জড়িত এক বাংলাদেশি শ্রমিক রাসেল মিয়া বলেন, আমরা এখানে টমেটো, বেগুন, বটবটি, লাল শাক, ধনিয়া, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পাতা, কলমি শাক, কুমড়াসহ নানা জাতের দেশি বিদেশি শাক সবজি ফলের চাষাবাদ করি।

তিনি বলেন, দৈনিক হিসেবে কাজ করলে তাদের দিনার থেকে ১০ দিনার হাজিরা। আমরা যারা কোম্পারি ভিসার লোক তাদের বেতন শুরু ৮০ দিনার থেকে ১৫০ দিনার পর্যন্ত। থাকা খাওয়া মালিক বহন করে। সব কিছু মিলিয়ে কোনো রকমের চলে যায় সংসার।

শীতের মৌসুমে কুয়েতে' বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কুয়েতিরা প্রতিসপ্তাহে পরিবার বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘুরতে আসে। এছাড়া বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও ঘুরে বেড়ায় এক মাজারা থেকে অন্য মাজারা।

মুমু

×