
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সচিবালয়ে কর্মরত ব্যক্তি ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম এবং মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়।
বিবৃতিতে ইউট্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, “সচিবালয় একটি রাষ্ট্রের প্রাণকেন্দ্র। যুদ্ধ বা দুর্যোগকালীন সময়েও সচিবালয় সচল রাখা রাষ্ট্রের প্রয়োজন। কিন্তু সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ নিয়ে চলমান আন্দোলনের কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে সচিবালয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সোয়াত ও বিজিবি সদস্যদের মোতায়েনের পাশাপাশি প্রধান গেট ও আশপাশে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অবস্থান নেয়। সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এমনকি সাবেক সচিব ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তারকেও সচিবালয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। সকালে দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে আসা সাংবাদিকদেরও প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। সচিবালয়ে প্রয়োজন হলে যে কেউ যেতে পারেন—এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এমন বাধা উদ্বেগজনক ও রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য অশুভ ইঙ্গিত বহন করে।”
ইউট্যাবের শীর্ষ নেতারা বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর দেশে একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে উঠবে। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সে প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পেরেছে—সে প্রশ্ন থেকেই যায়।”
তারা আরও বলেন, “আমরা সকল মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করুন। আন্দোলন চলমান থাকলে এবং সচিবালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হলে তা দেশ ও জাতির জন্য শুভ হবে না।”
নুসরাত