
ছবি:সংগৃহীত
রাজনীতি, কূটনীতি কিংবা রাষ্ট্র পরিচালনা, সবখানেই দৃঢ়চেতা ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রীর শাসন থেকে রেহাই পাননি তিনিও। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাক্রন স্বামীকে প্রকাশ্যে এক চড় দিয়েছেন। আর তাতেই হাস্যরসের সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে তাদের প্রেমের ব্যতিক্রমী গল্প।
ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর প্রেমকাহিনী যেন রূপকথাকেও হার মানায়। তখন তার বয়স মাত্র ১৬। প্রেমে পড়েন নিজের স্কুলের নাট্যশিক্ষিকা ব্রিজিত তনিয়ায়, যিনি ছিলেন তিন সন্তানের জননী ও ৪১ বছর বয়সী। বয়সের এত ব্যবধান এবং সম্পর্কের চরিত্র অস্বাভাবিক হওয়ায় ম্যাক্রনের পরিবার তা ঠেকাতে স্কুল পর্যন্ত পরিবর্তন করে দেন। তবে লাভ হয়নি। স্কুল ছাড়ার পরও ম্যাক্রনের প্রেম আরও গভীর হয়। টেলিফোনে চলত দীর্ঘ আলাপ। ততদিনে শিক্ষিকা থেকে হয়ে উঠেছেন প্রেমিকা।
সমাজের প্রচলিত ধ্যানধারণার বাইরে গিয়ে ২০০৭ সালে ব্রিজিত তনিয়া বিয়ে করেন ২৫ বছরের ছোট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে। ব্রিজিতের জীবনে তখন স্বামী-সন্তানও ছিল। তাই এই সম্পর্ক নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। ফ্রান্সসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে এই অসম প্রেমকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়।
সমালোচনার জবাবে একবার ম্যাক্রন বলেন, “যদি আমি আমার স্ত্রীর চেয়ে ২৪ বছরের বড় হতাম, তাহলে কেউ প্রশ্ন তুলত না। কিন্তু মানুষ ভিন্ন কিছু দেখলে সেটা মানতে চায় না।” তার এই বক্তব্য সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির এক গভীর বাস্তবতা তুলে ধরে।
২০১৭ সালের ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এক সাংবাদিক মজা করে বলেছিলেন, “যদি ম্যাক্রোঁ তার চেয়ে ২৪ বছরের বড় এক নারীর মন জয় করতে পারেন, তবে নিশ্চয়ই ফ্রান্সকেও জয় করতে পারবেন।”
আর সে কথাই যেন সত্যি হলো। ব্যক্তিগত জীবনের চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে ম্যাক্রন এখন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। তবে মাঝে মাঝে স্ত্রীর শাসন যে তার ওপরও পড়ে, তা বুঝিয়ে দিল সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া সেই ‘এক চড়ের’ দৃশ্য।
আঁখি