ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কলাপাড়ায় চাহিদার চেয়ে দুই হাজার বেশি প্রস্তুত কোরবানির পশু

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ২৮ মে ২০২৫

কলাপাড়ায় চাহিদার চেয়ে দুই হাজার বেশি প্রস্তুত কোরবানির পশু

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কোরবানির ঈদে চাহিদার চাহিদার চেয়ে অন্তত দুই হাজার পশু বেশি প্রস্তুত রয়েছে। কোরবানিকে ঘিরে এখন শেষ মুহূর্তের বেচাকেনা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত দাম নিয়ে মানুষ তেমন প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সাগরপারের কলাপাড়ার এই জনপদে তিন লক্ষাধিক মানুষের বসবাস রয়েছে। প্রাণী সম্পদ বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে এখানে গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়া মিলিয়ে মোট চাহিদা রয়েছে অন্তত ২০ হাজার। 

এখানে ছোট-বড় দুই হাজার খামারি রয়েছে। লতাচাপলীর তুলাতলীর খামারি মুফতি হাবিবুর রহমান মেসবাহ জানান, তিনি আকর্ষণীয় তিনটি পশুকে এবছরের কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন। এরমধ্যে একটির নাম দিয়েছেন রাঙা দুদু। তিন বছর বয়সী এই পশুর দাম চেয়েছেন ১৬ লাখ টাকা। তার দাবি ওজন ২০মণ হবে।

ছোট খামারি টিয়াখালীর আশরাফ আলী জানান, দুইটি পশু প্রস্তুত করেছেন। তার দাবি গাস খাইয়েছেন। স্থানীয় জাতের এই পশুর চাহিদা বেশি। তিনি একেকটির দাম হাকিয়েছেন দেড় লাখ পর্যন্ত।

কলাপাড়ার ২৪৭টি গ্রামের খামারি ছাড়াও সব গ্রামে অসংখ্য সাধারণ কৃষক পারিবারিকভাবে দুই-চারটা গবাদিপশু কোরবানির জন্য বিক্রির প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। তবে এবছর ছাগলের দাম একটু বেশি মনে করছেন ক্রেতারা। ভেড়ার দাম মানুষের নাগালের মধ্যে রয়েছে। তবে কোরবানির পশু কেনাবেচায় খাজনার নামে জুলুম করার অভিযোগ উঠেছে। তার পরও ঈদুল আজহাকে ঘিরে এখন কলাপাড়ার সর্বত্র চলছে পশু সংগ্রহের প্রস্তুতি। 

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মারুফ বিল্লাহ খান জানান, এবছর কোরবানির পশুর কোন সংকট নেই। উদ্ধৃত্ত রয়েছে অন্তত দুই হাজার পশু।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জানান, কোনো হাটবাজারে মাত্রাতিরিক্ত খাঁজনা নেওয়া হলে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সজিব

×