
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী দিয়ারকুল এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী ১১৬টি পরিবারের প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ঘরগুলো কিছুটা টেকসই হলেও চলাচলের একমাত্র সড়কের বেহাল দশায় দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা যায়, এখানকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি দুই বছর আগেই পাহাড়ি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। সেই থেকে সড়কটির আর মেরামত হয়নি। বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনো বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি কোনো উদ্যোগ।
এখানকার অধিকাংশ বাসিন্দা অটোরিকশা চালক ও দিনমজুর। প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আশপাশের বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে সড়কটি কর্দমাক্ত ও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় তারা নিয়মিত স্কুলে যেতে পারে না।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা জনকণ্ঠ'র প্রতিবেদককে জানান, "দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের পথ কার্যত বন্ধ। কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার উপায় থাকে না। নলকূপগুলোতেও ঠিকমতো পানি পড়ে না। আমরা নানা সমস্যার মধ্যে বসবাস করছি। বিভিন্ন সময়ে কিছু কর্মকর্তা এসে দেখে যান, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না। আমাদের মতো গরিব মানুষের খবর কে রাখে? চলার পথে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে, যাতায়াত করা কষ্টকর।"
মমতাজ বেগম নামের এক নারী বলেন, "আমাদের বাচ্চারা নিয়মিত স্কুলে যেতে পারে না। কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি না। সরকার ঘর দিয়েছে, কিন্তু একটা ভালো রাস্তা দেয়নি।"
এ বিষয়ে চন্দনাইশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক ডিপ্লোমেসি চাকমা বলেন, "আশ্রয়ণ প্রকল্পের সড়কটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিদর্শনের জন্য একজন প্রকৌশলী পাঠানো হবে। বরাদ্দ এলেই মেরামতের কাজ শুরু হবে।"
সজিব