
কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের স্থানীয় জাতের মৌসুমী ফলের প্রতি আকর্ষণ ক্রমশ বাড়ছে। কোন ধরনের কেমিক্যালমুক্ত এই ফল-ফলাদি তারা কিনে খাচ্ছেন। পাশাপাশি ফেরার সময় নিচ্ছেন প্রিয়জনের জন্য। আম, জাম, কাঠাল, লিচু, পেপে থেকে শুরু বিভিন্ন ধরনে মৌসুমি ফলের প্রতি আগত পর্যটকের ঝোক ক্রমশ বাড়ছে। তরতাজা এসব ফল কিনে স্বাদ মেটাচ্ছেন আগতরা। কুয়াকাটা চৌরাস্তা বেড়িবাঁধের থেকে শুরু করে পৌরসভা পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবদি চলে মৌসুমি এসব ফলের বেচাকেনা। মধু মাসের এসব ফলের চাহিদা বাড়ায় স্থানীয় পর্যায়ের উৎপাদকরাও ঝুকছেন ফলদ জাতীয় গাছপালার আবাদে। সারাদেশ থেকে প্রতিদিন কুয়াকাটায় আসা পর্যটকরা এসব ফল কিনে তৃপ্তির সঙ্গে খাচ্ছেন।
কুয়াকাটার স্থানীয় বাসীন্দা সোলায়মান জানান, নিজের বাগান থেকে তরতাজা বিভিন্ন জাতের আম এনে রাস্তার পাশে বসে বিক্রি করেন। ফরমালিনমুক্ত এসব আমসহ লিচু বিক্রি করছেন। দামও এক শ’ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। আম ছাড়াও ডউয়া, কাঠাল, আনারস, পেপে বিক্রি করছেন, পর্যটকরা কিনছেন। হোটেলে কিংবা বীচে গিয়ে খাচ্ছেন। স্বাদ নিচ্ছেন তাজা মধু মাসের ফলফলাদির। বিক্রেতারা জানান, পাঁচ বছর আগের চেয়ে এখানকার উৎপাদিত বিভিন্ন বিভিন্ন মৌসুমি ফলের চাহিদা বহুগুনে বেড়েছে।
পর্যটক ইমতিয়াজ হোসেন বললেন, আম কিনেছি। প্রথমে খেয়ে দেখলাম। স্বাদ ভালোই। তাই বাসার জন্য বেশি কিছু কিনে নিলাম। ফরমালিন মুক্ত তরতাজা। এটিই সবেচেয়ে ভালো দিক। এভাবে তাজা ফলের স্বাদ নিতে ভোলেন না কুয়াকাটায় আসা অসংখ্য পর্যটক। বিক্রেতারা জানান, প্রতিদিন দুই থেকে কেউ কেউ দশ হাজার টাকা পর্যন্ত খুচরা বিক্রি করেন। আবার অনেক সময় পাইকারিও বিক্রি করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আরাফাত হোসাইন জানান, এখানকার স্থানীয় ফল সবসময় ফরমালিন মুক্ত থাকে। কৃষি বিভাগ সবসময় চাষীদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছে। ফরমালিন মুক্ত আমসহ বিভিন্ন ফল খেয়ে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা আরও আকৃষ্ট হবেন।
রাজু