
ছবি:সংগৃহীত
রাজধানীর মধ্য বাড্ডার গোদারাঘাট এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান সাধন। রোববার (২৫ মে) রাত ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে গোদারাঘাটের ৪ নম্বর গলিতে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রাতের দিকে হঠাৎ কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, কামরুল হাসান সাধন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। প্রথমে তাকে রিকশায় করে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখান থেকে এম্বুলেন্সে করে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাধনের স্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, তার স্বামীর কোনো প্রকাশ্য শত্রু ছিল না, তবে মাঝেমধ্যে আশেপাশের লোকজন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করতেন তিনি। তার ভাষ্য, "ও বলতো, ‘ওরা আমার ক্ষতি করতে পারে, আমার সঙ্গে হিংসামি করে।’ কিন্তু আমি ভাবিনি কেউ ওভাবে গুলি করে মেরে ফেলবে। ও খুব ভালো মানুষ ছিল, কারো সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিল না।"
তিনি আরও জানান, তার স্বামী দীর্ঘ ১৫-১৬ বছর ধরে ইন্টারনেট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং কোনো ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল না। রাজনৈতিক কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা প্রকাশ করেন তিনি। বিচার দাবি করে বলেন, “আমি ফাঁসি চাই, যারা ওকে মেরেছে, সবাই যেন আইনের আওতায় আসে।”
নিহত কামরুল হাসান সাধন একজন একনিষ্ঠ বিএনপি কর্মী ছিলেন। পাশাপাশি ব্যবসা করতেন। তার কোনো সন্তান ছিল না। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার সন্তান এবং দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীতে বসবাস করতেন।
পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে দ্রুত হত্যার কারণ উদঘাটন এবং দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। তারা জানান, এতদিন ধরে সাধন কোনো ধরনের হুমকি পাননি এবং কোনো বিরোধেও জড়িত ছিলেন না, তাই এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সন্দেহ করছেন তারা।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। সকলের দাবি, ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হোক।
আঁখি