
ছবি: সংগৃহীত
শনিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। এই বৈঠকের পর থেকেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে আলোচনা তুঙ্গে।
রোববার রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ মিলনায়তনে ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ঐক্যভাবনা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ। সভায় দেশের প্রায় সব ইসলামী দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন।
সভায় বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দেশের সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী ছিল আলেম সমাজ। দেশের মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় সকল ইসলামপন্থী দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ওলামায়ে কেরাম ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছেন এবং সবচেয়ে বেশি জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নির্বাচনে ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে থাকলেও আমরা চাই একটি ঐক্য—একটি ভোটের বাক্স। সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ হই, ইনশাআল্লাহ সাময়িক হলেও সফলতা আসবে।
তারা আরও বলেন, আমাদের অসংখ্য হাফেজ-আলেমের রক্তের দিকে তাকিয়ে এবার ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতিফলন নয়, বরং জাতীয় ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামপন্থী দেশপ্রেমিক জনতার প্রতিফলন ঘটানো জরুরি। তাহলে এ বছর আমরা ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্রের দিকে অগ্রসর হতে পারব। ১৯৭১ সালের পর বিগত ৫৪ বছরে বাংলাদেশে এ পরিবেশ তৈরি হয়নি। ইসলামপন্থীদের চাইতে দেশপ্রেমিক আর কেউ বাংলাদেশে নেই।
বক্তারা দাবি করেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হলে প্রশাসনকে ‘আওয়ামী দোসরমুক্ত’ করতে হবে। তাদের মতে, অপরাধীরা নিজেদের স্বার্থে একজোট হয়ে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠায় বাধা সৃষ্টি করছে।
তারা বলেন, যারা ইসলামী শক্তির ঐক্য চায় না, তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=hl9DPI92Cx4
আবির