
ছবি: সংগৃহীত
একটি লিপস্টিক হাতে দাঁড়িয়ে আছেন আয়নার সামনে। ছোট্ট একটি সিদ্ধান্ত, তবুও মনে হচ্ছে যেন বিশাল কোনো যুদ্ধের সামনে দাঁড়িয়ে। এমন অনুভূতি কি আপনারও কখনো হয়েছে?
আত্মবিশ্বাস তৈরির যাত্রাটা অনেক সময় এমন একেবারে ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল মুহূর্ত থেকেই শুরু হয়। বড় কোনো বক্তৃতা কিংবা সবার সামনে ঝকঝকে উপস্থিতি নয়, বরং নিজেকে প্রতিদিন ১% সাহসী করে তোলাটাই আসল চাবিকাঠি।
মিথ: আত্মবিশ্বাস আসে হঠাৎ করে
অনেকেই ভাবেন, আত্মবিশ্বাস এমন কিছু যা হঠাৎ করেই এসে পড়ে—একটা সুইচ টিপে আলো জ্বলে ওঠার মতো। কিন্তু বাস্তবে আত্মবিশ্বাস আসে ধীরে ধীরে, মৃদু আলোয় ভরে উঠতে থাকা ঘরের মতো।
যারা সবসময় “আমি প্রস্তুত না” বলে অপেক্ষা করেন, তারা আসলে প্রস্তুতির মিথে আটকে থাকেন। কারণ, প্রস্তুতি হলো অভ্যাসের ফসল।
ধরুন আপনি আজ একটি ভিন্ন রঙের জামা পরলেন, অথবা মিটিংয়ে নিজে থেকে কথা বললেন। এগুলো ছোট সিদ্ধান্ত হলেও এগুলোই আত্মবিশ্বাস গঠনের ভিত্তি।
লিপস্টিক পরা, কোনো বন্ধুকে প্রশংসা করা, নতুন কোনো ক্লাসে যোগ দেওয়া—এসবই একেকটা সাহসী পদক্ষেপ।
ধাপে ধাপে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলুন
১. আত্মবিশ্বাসের সংজ্ঞা দিন নতুনভাবে
সবসময় গর্জে ওঠার নাম নয় আত্মবিশ্বাস। কখনো সেটা নিরবভাবে উপস্থিত থাকার মধ্যেও প্রকাশ পায়।
২. ছোট কিন্তু নিয়মিত পদক্ষেপ নিন
প্রতিদিন এমন একটি কাজ করুন, যা আপনার কমফোর্ট জোনের একটু বাইরের।
৩. ভুল হতেই পারে—তবু শুরু করুন
পারফেক্ট হতে হবে এই ভাবনাটাই আত্মবিশ্বাসের পথে সবচেয়ে বড় বাঁধা। ভুল করেই শেখা যায়।
৪. নিজের অর্জনগুলো উদযাপন করুন
একটা ভালো দিন, একটুখানি সাহসী হওয়া—সব লিখে রাখুন। ছবিও তুলুন। সময়ের সাথে দেখবেন আপনি কতদূর এসেছেন।
৫. ফিরে তাকান সাহসী মুহূর্তগুলোর দিকে
যেদিন আত্মবিশ্বাস কম থাকবে, সেদিন স্মরণ করুন আপনি অতীতে কিভাবে সাহসী হয়েছেন।
“ফেইক ইট টিল ইউ মেইক ইট” নয়, বরং “স্টার্ট ইট টিল ইউ বিল্ড ইট”—এই মনোভাবটাই আপনাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
আজ, আগামীকাল, বা আগামী সপ্তাহ—আপনার কাজ শুধু একটা ছোট সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়া। এভাবেই গড়ে উঠবে স্থায়ী আত্মবিশ্বাস।
মুমু