ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের ৩০ হাজার যুদ্ধের পোশাক তৈরী হচ্ছিল চট্টগ্রামের কারখানায়

প্রকাশিত: ১০:৪২, ২৬ মে ২০২৫; আপডেট: ১০:৪৫, ২৬ মে ২০২৫

কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের ৩০ হাজার যুদ্ধের পোশাক তৈরী হচ্ছিল চট্টগ্রামের কারখানায়

ছবি:সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামক সশস্ত্র সংগঠনের জন্য তৈরি করা ৩০ হাজার ৩০০ পিস ইউনিফর্ম জব্দ করেছে পুলিশ। নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার মোজাফফর নগর এলাকার একটি পোশাক কারখানা ‘রিংভো অ্যাপারেলস’ থেকে এসব ইউনিফর্ম উদ্ধার করা হয়।

 

 

ঘটনাটি ঘটে গত ১৭ মে রাতে, তবে জব্দ ও গ্রেপ্তারের প্রায় এক সপ্তাহ পর অর্থাৎ ২৫ মে রোববার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।

বায়েজিদ থানা পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় গত ১৮ মে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী হিসেবে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেনের নাম উল্লেখ রয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন—কারখানার মালিক সাহেদুল ইসলাম, ইউনিফর্ম তৈরির কার্যাদেশদাতা গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার। এছাড়া রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বাসিন্দা মংহ্লাসিং মারমা (৩৭) নামের একজনকে মামলার আরেক আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার ও জব্দ তালিকা অনুযায়ী, গোয়েন্দা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর বায়েজিদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাহেদুল ইসলামকে এবং হালিশহরের ছোটপুল এলাকা থেকে গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দারকে গ্রেপ্তার করে।

 

 

তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রিংভো অ্যাপারেলসের গোডাউন থেকে ৩২০ বস্তা এবং নয়ারহাট এলাকার কারখানা থেকে আরও ২৬০ বস্তা, মোট ৫৮০ বস্তায় থাকা ২০ হাজার ৩০০টি ইউনিফর্ম জব্দ করা হয়।

মামলায় বলা হয়েছে, গত মার্চ মাসে মংহ্লাসিং মারমা ও কেএনএফ-এর সদস্যদের কাছ থেকে দুই কোটি টাকায় এসব ইউনিফর্ম তৈরির কার্যাদেশ নেন গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার। তারা সংগঠনের পক্ষ থেকে কাপড়ও সরবরাহ করেন। চলতি মে মাসেই এসব ইউনিফর্ম ডেলিভারির কথা ছিল।

পোশাক তৈরির চুক্তির সাক্ষী হিসেবে ‘রিংভো অ্যাপারেলস’-এর প্রডাকশন ম্যানেজার মো. কামরুজ্জামানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, “এসব ইউনিফর্ম কাদের জন্য তৈরি হচ্ছে তা আমরা জানতাম না। আমরা সাব-কন্ট্রাক্টের কাজ করি। কারখানাটির একটি ফ্লোরে মাত্র ৫০-৬০টি মেশিন রয়েছে।”

এদিকে, এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, বায়েজিদ থানার ওসি এবং গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামের এই সশস্ত্র সংগঠনের অস্তিত্ব প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০২২ সালের শুরুতে। বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সংগঠনটি গঠিত হয় বম, পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, খুমি ও ম্রো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে। তবে সংগঠনে বম সম্প্রদায়ের সদস্যদের আধিক্যের কারণে এটি ‘বম পার্টি’ নামেও পরিচিত।

 

সূত্র:https://youtu.be/u5pNbJ1RaBM?si=__u382JIsLUqw5-f

আঁখি

×