
ছবিঃ সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সুনির্দিষ্ট ড্রোন হামলায় ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে আল-কায়দার পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় আবিয়ান প্রদেশের খাবার আল মারাস্কা অঞ্চলের একটি পাহাড়ি এলাকায় চালানো হয় এই হামলা, যা স্থানীয় বাসিন্দা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাতে নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আরব নিউজ।
নিরাপত্তা সূত্রের দাবি, নিহতদের মধ্যে আল-কায়দার একজন স্থানীয় শীর্ষ কমান্ডারও থাকতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের টার্গেটেড এই হামলার ফলে সংগঠনটির একটি সক্রিয় ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আবিয়ান প্রদেশটি ইয়েমেনের অস্থায়ী রাজধানী এডেনের সীমান্তঘেঁষা অঞ্চল হওয়ায় কৌশলগত দিক থেকে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, হামলার লক্ষ্যস্থলটি ছিল আল-কায়দার পুরনো ও শক্তিশালী ঘাঁটি।
২০০৯ সালে সৌদি আরব ও ইয়েমেন শাখা একত্রিত হয়ে গঠন করে আল-কায়দা ইন দ্য আরাবিয়ান পেনিনসুলা (AQAP)। এই শাখাটিকেই দীর্ঘদিন ধরে সবচেয়ে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৫ সাল থেকে চলা ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের কারণে দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতার সুযোগ নিয়ে আল-কায়দা সংগঠনটি তাদের কার্যক্রম জোরদার করে। যদিও হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র কিছু সামরিক তৎপরতায় বিরতি দিয়েছিল, তবে এই হামলা প্রমাণ করে যে আল-কায়দা এখনো মার্কিন নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা ইয়েমেন যুদ্ধ বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকটে পরিণত হয়েছে এবং লাখো মানুষ এতে প্রাণ হারিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এই হামলা শুধু আল-কায়দার প্রতি হুশিয়ারি নয়, বরং এটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা কৌশলের ধারাবাহিকতা বহন করছে।
ইমরান