
ছবি: সংগৃহীত
আরশোলা ময়লা এবং উচ্ছিষ্ট খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হয়। অতএব, ঘর বিশেষ করে রান্নাঘর এবং বাথরুম সব সময় পরিষ্কার রাখুন। রান্নার পর গ্যাসের চুলা এবং মেঝে ভালো করে মুছে ফেলুন।
আরশোলার পা এবং শরীরে ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া বহন করে, যা রান্নাঘর, খাবারের জিনিসপত্র এবং ঘরের কোণে ছড়িয়ে দেয়। এগুলি তাড়াতে চাইলে নিচের ব্যবস্থাগুলি অবলম্বন করুন:
আরশোলা মারার জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার হচ্ছে এক ভাগ বোরাক্স পাউডার এবং এক ভাগ গুঁড়ো চিনি মিশিয়ে নেওয়া। এটি আরশোলা আসার স্থানগুলিতে ছিটিয়ে দিন, যেমন সিঙ্কের নিচে, রেফ্রিজারেটরের পেছনে বা ফাটলে। চিনি আরশোলাকে আকৃষ্ট করে এবং বোরাক্স তাদের মেরে ফেলে।
যদি বোরাক্স না পাওয়া যায়, তাহলে বেকিং সোডা এবং চিনি ব্যবহার করুন। এক ভাগ বেকিং সোডা এবং এক ভাগ চিনি মিশিয়ে আরশোলা দেখা যায় এমন স্থানে রাখুন।
আরশোলা তেজপাতার গন্ধ সহ্য করতে পারে না। তেজপাতা পিষে আরশোলা আসার জায়গায় রাখলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যাবে। এটি একটি প্রাকৃতিক এবং অ-বিষাক্ত পদ্ধতি, যা শিশু ও পোষা প্রাণীর জন্যও নিরাপদ।
লেবুর রস একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। এক বালতি জলে লেবুর রস মিশিয়ে মেঝে মুছলে তা কেবল পরিষ্কারই হবে না, বরং জীবাণুনাশক গন্ধ থেকেও মুক্ত থাকবে।
একটি কাচের জার নিন এবং তার মধ্যে কিছু চিনি বা রুটি রাখুন। জারের কিনারায় ভ্যাসলিন লাগান। আরশোলা ভিতরে ঢুকবে, কিন্তু পিচ্ছিল পৃষ্ঠের কারণে বেরোতে পারবে না।
আরশোলা ছোট ছোট গর্ত ও ফাটল দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। সিল্যান্ট বা পুটি দিয়ে দেওয়াল, মেঝে এবং সিঙ্কের চারপাশের ফাটল বন্ধ করে দিন।
আরশোলা যদি অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যায়, তাহলে বাজারে পাওয়া কীটনাশক স্প্রে ব্যবহার করুন। তবে সাবধানতার সঙ্গে তা ব্যবহার করতে হবে এবং শিশু ও পোষা প্রাণীকে দূরে রাখতে হবে।
শহীদ