
ছবি:সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে বাড়ছে চিনি সেবনের কারণে বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা। ডায়াবেটিস, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, এমনকি হৃদরোগের মতো সমস্যার মূলে রয়েছে অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ। তবে চিনি থেকে বিরত থাকা কি সত্যিই শরীরের উপকারে আসে? গবেষণা বলছে, হ্যাঁ, এবং মাত্র ২১ দিনের একটি ‘চিনি-মুক্ত’ সময়সীমায় শরীরে বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
প্রথম দিকে শরীরে কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, যেমন মাথাব্যথা, ক্লান্তি কিংবা মিষ্টি খাবারের প্রবল আকাঙ্ক্ষা। তবে কয়েকদিন পর শরীর নিজেকে মানিয়ে নেয় এবং ধীরে ধীরে ফলাফল স্পষ্ট হতে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনি ছাড়লে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে, ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে এবং ধীরে ধীরে ওজন কমে যেতে শুরু করে। পাশাপাশি ত্বক হয় উজ্জ্বল ও পরিষ্কার, ঘুমের মান উন্নত হয় এবং মেজাজ থাকে স্থির ও প্রশান্ত। শুধু তাই নয়, ২১ দিনের শেষে চিনি খাওয়ার প্রতি আগ্রহও কমে যায়।
এছাড়া, যারা দীর্ঘমেয়াদি ক্লান্তি, হজমজনিত সমস্যা কিংবা বারবার ক্ষুধা লাগা নিয়ে ভুগছেন, তারা চিনি ত্যাগের এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে উপকার পেতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, চিনি ছাড়ার সময় প্রক্রিয়াজাত খাবার, কোমল পানীয়, কেক, পেস্ট্রি ও চকলেট এড়িয়ে চলা উচিত। তার পরিবর্তে খাবারের তালিকায় রাখা উচিত ফলমূল, শাকসবজি ও উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার।
একটি ছোট পদক্ষেপে শুরু করা গেলেও এই ২১ দিন হতে পারে সুস্বাস্থ্য ও সচেতন জীবনের এক বড় পরিবর্তনের সূচনা।
আঁখি