
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান সময়ে শিশুদের মাঝে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। গ্রীষ্মকালে ও বর্ষার শুরুতে এ রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। তবে সময়মতো সঠিক ব্যবস্থা না নিলে এই সাধারণ সমস্যাটিই ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তাই শিশুর ডায়রিয়া হলে অভিভাবকদের কী করণীয় — সে বিষয়ে সচেতন হওয়া খুবই জরুরি।
ডায়রিয়ার লক্ষণ:
-
ঘন ঘন পাতলা পায়খানা
-
বমি বা বমির ভাব
-
জ্বর
-
খাওয়ায় অনীহা
-
চোখ বসে যাওয়া
-
শিশু স্থির বা নিস্তেজ হয়ে পড়া
করণীয়:
১. ওআরএস (ORS) খাওয়ান:
ডায়রিয়া হলে শিশুর শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ও লবণ বের হয়ে যায়। এটি পূরণ করতে ওআরএস সবচেয়ে কার্যকর সমাধান। প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর শিশুকে বয়স অনুযায়ী উপযুক্ত পরিমাণ ওআরএস খাওয়ান।
২. পানির ঘাটতি পূরণ করুন:
সাধারণ পানি, চালের মাড়, লেবু-পানি ইত্যাদি তরল খাবার বেশি করে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।
৩. বুকের দুধ চালিয়ে যান:
যেসব শিশু বুকের দুধ খায়, তাদের ডায়রিয়া হলেও বুকের দুধ বন্ধ করা যাবে না। বরং নিয়মিত খাওয়াতে হবে।
৪. হালকা খাবার দিন:
ডায়রিয়ার সময় শিশুকে সহজপাচ্য ও ঘরে তৈরি হালকা খাবার (যেমন খিচুড়ি, স্যুপ) খাওয়ানো উচিত। তবে খাবার যেন পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:
যদি শিশুর ডায়রিয়া তিন দিনের বেশি স্থায়ী হয়, বা রক্তযুক্ত পায়খানা দেখা যায়, অথবা শিশু অস্বাভাবিক দুর্বল হয়ে পড়ে — তাহলে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
৬. স্যানিটেশন ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন:
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ডায়রিয়া প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর খাবার, পানির পাত্র, খেলনা সবকিছু পরিষ্কার রাখতে হবে। হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে পরিবারের সবার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক ক্ষেত্রেই ডায়রিয়া প্রতিরোধযোগ্য। নিরাপদ পানি পান, পুষ্টিকর খাবার, টিকাদান এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে শিশুদের ডায়রিয়া হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
আলীম