
ছবি: সংগৃহীত
স্বপ্ন আমাদের অবচেতন মনের প্রতিফলন। কেউ কেউ মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখেন, আবার অনেকেই প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো স্বপ্ন দেখেন। তবে প্রতিদিন স্বপ্ন দেখা স্বাভাবিক নাকি এটি কোনো মানসিক বা শারীরিক অবস্থার ইঙ্গিত দেয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রতিদিন স্বপ্ন দেখার সম্ভাব্য কারণ
গভীর মানসিক চিন্তা ও দুশ্চিন্তা
যদি কেউ দিনের বেশিরভাগ সময় কোনো বিষয় নিয়ে বেশি চিন্তা করেন বা মানসিক চাপ অনুভব করেন, তবে তা স্বপ্নে প্রতিফলিত হতে পারে। উদ্বেগ ও মানসিক চাপ স্বপ্ন দেখার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়।
বেশি সংবেদনশীল বা কল্পনাপ্রবণ হওয়া
যারা স্বভাবগতভাবে সংবেদনশীল ও কল্পনাপ্রবণ, তারা সাধারণত বেশি স্বপ্ন দেখেন। তাদের মস্তিষ্ক দিনের অভিজ্ঞতাগুলো গভীরভাবে গ্রহণ করে এবং তা ঘুমের সময় স্বপ্নে প্রকাশিত হয়।
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বা ঘুমের মান খারাপ হলে মস্তিষ্ক স্বাভাবিক বিশ্রাম নিতে পারে না। এতে স্বপ্ন দেখার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে।
ওষুধ বা খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব
কিছু ওষুধ, যেমন ডিপ্রেশনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ বা স্নায়ুবিক ওষুধ, স্বপ্ন দেখার মাত্রা বাড়াতে পারে। তাছাড়া ক্যাফেইন, অ্যালকোহল বা ভারী খাবার ঘুমের চক্রকে প্রভাবিত করে, যা বেশি স্বপ্ন দেখার কারণ হতে পারে।
অস্বাভাবিক ঘুমচক্র বা অনিয়মিত জীবনযাপন
যারা ঘুমানোর সময় ও রুটিন ঠিক রাখেন না, তাদের মধ্যে স্বপ্ন দেখার প্রবণতা বেশি হতে পারে। অনিয়মিত ঘুমচক্র মস্তিষ্ককে অস্বাভাবিকভাবে সক্রিয় রাখতে পারে, ফলে বেশি স্বপ্ন দেখা যায়।
মানসিক বা স্নায়ুবিক সমস্যার লক্ষণ
প্রতিদিন অতি মাত্রায় স্বপ্ন দেখা কখনো কখনো মানসিক বা স্নায়ুবিক সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে, যেমন:
অ্যাংজাইটি ও ডিপ্রেশন: দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের কারণে মস্তিষ্ক অতিসক্রিয় থাকে, ফলে বেশি স্বপ্ন দেখা যায়।
পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার: যারা অতীতে কোনো বড় ধরণের মানসিক আঘাত পেয়েছেন, তাদের দুঃস্বপ্ন হতে পারে।
যদি স্বপ্নগুলো ইতিবাচক হয় এবং ঘুমের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে, তবে এটি সাধারণত চিন্তার বিষয় নয়। তবে যদি স্বপ্ন দেখা অতিরিক্ত হয়, খারাপ বা আতঙ্কজনক হয় এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
শিলা ইসলাম