
ছবি:সংগৃহীত
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাজারে আসছে নতুন ডিজাইনের টাকা। শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ক্রেডিট এনহ্যান্সমেন্ট স্কিমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, নতুন মুদ্রায় কোনো ব্যক্তির ছবি থাকবে না; বরং দেশের ঐতিহাসিক মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও বৌদ্ধ বিহারের মতো উপাসনালয়ের ছবি থাকবে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন উঠেছিল, নতুন টাকায় জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে শহীদ মুগ্ধ ও আবু সাঈদের ছবি থাকবে। তবে এ বিষয়ে সরাসরি বিরূপ অবস্থান জানিয়ে গভর্নর বলেন, “মসজিদ না মন্দির, এটা বড় বিষয় নয়। এসব উপাসনালয় আমাদের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”
ঈদকে কেন্দ্র করে প্রথম ধাপে ১০, ৫০ এবং ২০ টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০ টাকার নোট ছাপার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, যা আগামী সপ্তাহেই বাংলাদেশ ব্যাংকে হস্তান্তর করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে ৫০ ও ১০০০ টাকার নোটও ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
টাকশাল সূত্র জানায়, নতুন ডিজাইনের নোট ছাপাতে সাধারণত এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের গত ডিসেম্বরের সিদ্ধান্ত অনুসারে চলতি মাসেই এই নোট ছাপার কাজ শুরু হয়। প্রথম ধাপে তিনটি নোট ছাপানো হচ্ছে, কারণ টাকশালের সক্ষমতা একসাথে এর বেশি নয়।
অর্থপাচার ইস্যুতে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনা এই সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার।” তিনি জানান, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিষয়টি আলোচিত হওয়ায় বৈশ্বিক চাপ তৈরি হয়েছে, এবং সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলো ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। পাচারকৃত অর্থ ফ্রিজ হওয়ায় তা ফেরত আনার প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। এখন লক্ষ্য, এই সম্পত্তিগুলো যাতে বিদেশে বিক্রি করে ফেলা না যায়।
ডিজিটাল ব্যাংক লাইসেন্স নিয়েও কথা বলেন গভর্নর। তিনি জানান, পূর্বের প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে। তবে ইতোমধ্যে দেওয়া লাইসেন্স বাতিল হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত নয়।
সূত্র:https://youtu.be/HWuS28hcb1Y?si=keVbQqWfWY__5i3K
আঁখি