
ছবি: সংগৃহীত
কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর, যিনি ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রচারের আওতায় একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তিনি পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে ভারতের হামলার প্রশংসা করে বলেন, ভারত “জোরালো এবং কৌশলীভাবে আঘাত করেছে।”
নিউইয়র্কে ভারতীয় কনস্যুলেটে এক আলোচনা সভায় থারুর বলেন, “আমি সরকারের কর্মী নই, যেমনটি আপনারা জানেন। আমি বিরোধী দলের প্রতিনিধি। আমি নিজেই একটি মতামত প্রবন্ধ লিখেছিলাম, যেখানে বলেছিলাম এখন সময় এসেছে জোরালো কিন্তু কৌশলীভাবে আঘাত করার। আমি আনন্দিত যে ভারত ঠিক সেটাই করেছে।”
তিনি জানান, ৭ মে ভারত “অত্যন্ত নির্দিষ্ট ও পরিকল্পিত হামলা” চালিয়েছে, যেখানে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত “নয়টি নির্দিষ্ট, পরিচিত সন্ত্রাসী ঘাঁটি, সদর দফতর ও লঞ্চপ্যাড” লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।
থারুর আরও বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এখন নতুন এক ‘নিম্নরেখা’ (bottom line) নির্ধারণের সময় এসেছে। “আমরা সবকিছু চেষ্টা করেছি – আন্তর্জাতিক নালিশ, অভিযোগ – সবই করা হয়েছে,” তিনি বলেন।
তিনি জানান, পাকিস্তান সবসময়ই অস্বীকারের পথ বেছে নিয়েছে, “কোনো দোষ স্বীকার নয়, কোনো গুরুত্বপূর্ণ অপরাধমূলক বিচার হয়নি, এবং সন্ত্রাসবিরোধী কাঠামো ভাঙার কোনো প্রকৃত চেষ্টাও করা হয়নি।” তিনি আরও যোগ করেন, “যখন নিরাপদ আশ্রয়স্থল বজায় থাকে… আপনি (পাকিস্তান) যদি এটা করেন, তাহলে এর জবাবও পেতে হবে।”
‘অপারেশন সিন্দুর’-এর অধীনে ভারতের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ প্রসঙ্গে থারুর বলেন, দেশটি এখন “একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ নিখুঁততা” দিয়ে আঘাত হানার ক্ষমতা দেখিয়েছে। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না। “আমরা যুদ্ধ চাই না,” তিনি বলেন। “আমরা বরং আমাদের অর্থনীতি গড়ে তুলতে এবং আমাদের জনগণকে ২১ শতকের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে চাই,” থারুর যোগ করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ভারত একটি ‘স্থিতিশীলতার পক্ষে থাকা শক্তি’ হলেও পাকিস্তান তা নয়। তার দাবি, পাকিস্তান এখনও ভারতের ভূখণ্ডের প্রতি আগ্রহী এবং প্রচলিত পন্থা ব্যর্থ হলে সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় নেয়। “তারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে তা অর্জন করতে চায়, যা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না,” বলেন থারুর।
শশী থারুরের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দলটি যুক্তরাষ্ট্র, পানামা, গায়ানা, ব্রাজিল এবং কলম্বিয়া – এই পাঁচটি দেশ সফর করবে। এই প্রতিনিধিদলে আরও রয়েছেন বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য, ভূবনেশ্বর কলিতা ও শশাঙ্ক মণি ত্রিপাঠী, এলজেপি (রামবিলাস)–এর শম্ভাবী চৌধুরী, টিডিপির জি এম হরীশ বলায়োগি, শিবসেনার মিলিন্দ দেওরা, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সরফরাজ আহমদ এবং সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত তরনজিৎ সিং সান্ধু।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
এএইচএ