
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চরমত্ত গ্রামে ভুল ওষুধ প্রয়োগের কারণে ১০০ শতক জমির ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বর্গাচাষি সাইফুল ইসলাম। এতে প্রায় সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। কৃষি কর্মকর্তারাও বিষয়টি তদন্ত করে জানিয়েছেন, ভুল ওষুধ ব্যবহারের কারণেই এই বিপর্যয় ঘটেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, `তার বর্গাকৃত জমিতে আগাছা দমনের জন্য ১০/১২ দিন আগে শহরের লঞ্চঘাট এলাকার মেসার্স গফুর ট্রেডার্স নামক দোকান থেকে ওষুধ কিনেছিলেন। দোকানদার মো. গফুর তাকে একটি বোতল ও প্যাকেটজাত ওষুধ দিয়ে প্রয়োগের পদ্ধতিও জানান। সেই অনুযায়ী জমিতে ওষুধ প্রয়োগ করার একদিন পর থেকেই ধানের চারাগাছ মরে যেতে শুরু করে। কয়েক দিনের মধ্যেই পুরো ১০০ শতক জমির ধানের চারা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায়।
সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বলেন, `এই জমির ধানেই আমাদের সারা বছরের খাবার ও সংসার খরচ চলত। এখন সব শেষ। দোকানদার ক্ষতিপূরণ হিসেবে মাত্র ১২ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন, যেখানে আমাদের ক্ষতি প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা।‘
এ বিষয়ে দোকানদার মো. গফুর বলেন, `কৃষক প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ওষুধ প্রয়োগ করেছেন। আমার পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মাত্রায় দিলে হয়তো এমন ক্ষতি হতো না। তারপরও সহানুভূতির জায়গা থেকে কিছু ক্ষতিপূরণ দিয়েছি।‘
তবে জেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. রবীআহ নূর আহমেদ জানান, `জমিতে ভুল ওষুধ প্রয়োগের ফলেই এই ক্ষতি হয়েছে। দোকানদারদের এভাবে নিজেদের মতো করে কৃষকদের ওষুধ দেওয়া ঠিক নয়। ওষুধ বিক্রয়ের আগে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নেওয়া উচিত।‘
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের দাবি, তারা যে ক্ষতির শিকার হয়েছেন, তার তুলনায় প্রস্তাবিত ক্ষতিপূরণ অনেক কম। বিষয়টি যথাযথভাবে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
নোভা