যেখানে থেমে গেছে সময়, সেখানে এখনো ছুটে চলে মহিষের গাড়ি

প্রযুক্তি ও যান্ত্রিকতার এ যুগেও কুড়িগ্রামের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো গ্রামীণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় দেখা মেলে মহিষ টানা গাড়ির। বিশেষ করে গাছ, কাঠ কিংবা অন্যান্য ভারি জিনিসপত্র বহনের ক্ষেত্রে এই প্রাচীন বাহনটিই হয়ে উঠেছে স্থানীয়দের নির্ভরতার প্রতীক।

কুড়িগ্রামের সদর ও রাজারহাট উপজেলার চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা রাস্তাঘাট ও নদীভাঙনের কারণে অনেক এলাকায় মোটরচালিত যানবাহনের প্রবেশ কঠিন। ফলে সেখানে মহিষের গাড়িই একমাত্র ভরসা। কাঠের গুড়ি বাজারে আনা নেওয়া কিংবা নির্মাণসামগ্রী বহন, কিংবা ভাড়ি মালামাল—সব ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হচ্ছে এই গাড়ি।

ছিনাই ইউনিয়নের বাসিন্দা এনাম আলী বলেন, “রাস্তাঘাট ভালো না হওয়ায় আমরা এখনো মহিষের গাড়ি ব্যবহার করি। এতে খরচও কম, আর মহিষগুলোও আমাদের পরিবারের অংশ হয়ে গেছে।”

তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মহিষের গাড়ির ব্যবহার কমে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের আগ্রহের অভাব এবং আধুনিক যন্ত্রের প্রচলন এই ঐতিহ্যবাহী বাহনটির অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে। তারপরও এখনো যারা এটি ব্যবহার করেন, তাদের কাছে এটি শুধু একটি যানবাহন নয়—বরং জীবনের সঙ্গে মিশে থাকা এক সংস্কৃতি।