
ছবি: সংগৃহীত
ইরান থেকে তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনার অভিযোগে ৬টি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, যাদের মধ্যে ভারতের ৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
যেসব ভারতীয় কোম্পানি এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে, তাদের নাম বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয়নি, তবে মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইরান বিপুল অর্থ উপার্জন করছে, যা সন্ত্রাসবাদে ব্যবহৃত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান থেকে এই ধরনের পণ্য কেনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো তেহরানকে অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহ, হুথি বিদ্রোহী, হামাসসহ অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় এবং যুদ্ধপরিস্থিতি উসকে দিতে। মার্কিন সরকারের মতে, ইরান সরকারের এই নীতিমালার কারণে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং এতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।
নির্দেশ ১৩৮৪৬ অনুযায়ী, যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইরানের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করে কিংবা সে দেশের রপ্তানি পণ্য কেনে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায়। এই নীতির আওতায় শুধু ভারত নয়, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং এবং ভিয়েতনামের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকেও একই তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ইরানি সরকারের তহবিলের প্রবাহ বন্ধ করা। কারণ এই অর্থ তারা নিজেদের জনগণের ওপর দমনমূলক আচরণ এবং বিদেশে সন্ত্রাসবাদ ছড়াতে ব্যবহার করছে।”
এখন পর্যন্ত ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা ভারত-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্কে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে। যদিও অতীতে ভারত ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করেছিল ২০১৯ সালে, তবে বর্তমানে কিছু বেসরকারি বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে বাণিজ্য চলমান রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মুমু ২