
ছবি: সংগৃহীত
গত শুক্রবারের সেই ভয়াবহ এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমান দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিকে। কিন্তু মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ছিল একটি বিশেষ সংখ্যা - ১২০৬। এই সংখ্যাটি রূপানির জীবনে বারবার ফিরে এসেছে ভাগ্যের প্রতীক হিসেবে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সংখ্যাই হয়ে উঠল তাঁর শেষ যাত্রার সাক্ষী।
২০১৬ সালের ১২ই জুন (১২-০৬) তারিখে বিজয় রূপানি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। সেই থেকে এই সংখ্যাটি তাঁর জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করত। রাজনৈতিক সহকর্মীরা জানান, তিনি প্রায়ই বলতেন, "১২০৬ আমার লাকি নাম্বার"। এমনকি তাঁর ব্যক্তিগত জিনিসপত্রেও এই সংখ্যা খুঁজে পাওয়া যেত।
কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস, সেই ১২০৬ সংখ্যাই জড়িয়ে গেল তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে। বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার সময় রূপানি যে সিটে বসেছিলেন, তার নম্বর ছিল ১২এফ। সংখ্যাতত্ত্ববিদরা বলছেন, এটি নিছক কাকতালীয় ঘটনা নয়, বরং ভাগ্যের এক অদ্ভুত খেলা।
রাজনৈতিক মহলে বিজয় রূপানিকে স্মরণ করা হচ্ছে একজন দক্ষ প্রশাসক ও প্রগতিশীল নেতা হিসেবে। ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নেতৃত্বে রাজ্যটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অবকাঠামো উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছিল। কিন্তু রাজনীতির মাঠে সাফল্যের পরও ভাগ্য তাঁর শেষ যাত্রায় বড় ধরনের পরিহাসই খেলেছে।
রূপানির পরিবার ও সমর্থকরা এই ঘটনাকে দেখছেন ভাগ্যের এক অদ্ভুত পরিহাস হিসেবে। তাঁর এক ঘনিষ্ঠ সহকারী বলেন, "স্যার সবসময় বলতেন ১২০৬ তাঁর জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে। কে জানত এই সংখ্যাই তাঁর শেষ যাত্রার সাক্ষী হয়ে থাকবে?"
এই মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছে, ভাগ্যের খেলায় মানুষের হিসাব-নিকাশ কতটা অসার। বিজয় রূপানির মতো একজন প্রভাবশালী নেতাও শেষ পর্যন্ত ভাগ্যের কাছে মাথা নত করলেন, তাঁর প্রিয় সংখ্যার সাথেই। শেষ পর্যন্ত, এই করুণ ঘটনা রাজনৈতিক ইতিহাসে লেখা হয়ে থাকবে এক অধ্যায় হিসেবে - যেখানে ভাগ্য আর সংখ্যার খেলা মানুষের জীবন-মৃত্যুর সীমানাও নির্ধারণ করে দেয়।
সাব্বির