ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

শত বছর ধরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে যে স্কুল 

এম হেলাল উদ্দিন নিরব, চন্দনাইশ প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম) 

প্রকাশিত: ০০:৪৪, ৩১ জুলাই ২০২৫

শত বছর ধরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে যে স্কুল 

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে শতাব্দী পেরিয়ে শত বছর ধরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে গাছবাড়িয়া নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। 

১৯১৪ সালের তৎকালীন শিক্ষানুরাগী উপজেলার জোয়ারা ইউনিয়নের মাস্টার গৌরচন্দ্র তার নিজ উদ্যোগে একটি কাচা ঘর নির্মাণ করে বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। পরবর্তীতে দু-এক বছর অতিবাহিত না হতেই কিছু দুষ্কৃতিরা রাতের অন্ধকারে বিদ্যালয়টি জ্বালিয়ে দেয়৷ তখন সেটি দেখে জমিদার নিত্যানন্দ তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে বিদ্যালয়টি আবার পুনরায় তৈরি করেন৷ সে কারণে নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালটি নামকরণ করা হয়। যদিওবা এটি ১৯১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফিলিয়েশন দেন ১৯১৮ সালে৷ 

গাছবাড়িয়া নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র সরকারি মডেল   উচ্চ বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য শিক্ষার্থীরা হলেন, জাতীয় অধ্যাপক ও ইউএসটিসির প্রতিষ্ঠাতা ডা. নুরুল ইসলাম, সাবেক সচিব প্রফেসর কেএম ফরিদ উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রথম পদত্যাগকারী পাকিস্তান সরকারের কূটনৈতিক কেএম সেহাব উদ্দিন, কবি ও সাহিত্যিক আহমদ ছফা, প্রখ্যাত ইএনটি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. নুরুল আমিন, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী কর্ণেল (অব) অলি আহাম্মদ, ভাষা সৈনিক মো. সোলাইমান, চুয়েটের সাবেক ভিসি ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, সরকারের প্যানেল স্পিকার ও চন্দনাইশ -১৪ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. আব্দুল আলীম, বিশিষ্ট শিল্পপতি আব্দুল কৈয়ুম চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার চৌধুরী প্রমুখ। 

বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে দেশের উন্নয়নের এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে এলাকাবাসীকে। এই স্কুল থেকে বের হয়ে দেশ-বিদেশে অনেক শিক্ষার্থী যেভাবে সুনাম অর্জন করেছে, তেমনিভাবে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দায়িত্বে রয়েছেন অনেকে।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মতিন জানান, শত বছর পেরিয়ে আজো অব্দি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে বিদ্যালয়টি। এখান থেকে বের হয়ে শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে বেশ সুনাম অর্জন করেছে, এবং দেশ পরিচালনায় ও সরকারের উচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে ২ হাজার ১ 'শ ৮ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।এতে রয়েছে সমৃদ্ধ বিজ্ঞানাগার ও সুবিশাল পাঠাগার। সেখানে রয়েছে বিভিন্ন লেখক কলামিস্টদের প্রায় ৪ হাজার গল্প ও উপন্যাস রয়েছে। বিদ্যালয়টির একটি ত্রিতল ভবন, ৪ টি দ্বিতল ও ৩ টি একতলা ভবন রয়েছে।

 

রিফাত

আরো পড়ুন  

×