
ছবিঃ সংগৃহীত
টাঙ্গাইলের সখীপুরে মসজিদের মাইকে মক্তবের ছাত্রদের ডাকাডাকি করায় মুয়াজ্জিনকে হেনস্তা এবং তাকে নানাবিধ ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) কচুয়া পূর্বপাড়া নূরে মাদিনা হাফিজিয়া মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এ ঘটনার খবর সখীপুরে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয় এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অভিযুক্তকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।
ভুক্তভোগী কচুয়া পূর্বপাড়া নূরে মাদিনা হাফিজিয়া মাদরাসার নূরানি বিভাগের শিক্ষক আবদুল জলিল জানান, মাদরাসার কমিটি ও স্থানীয় অভিভাবকদের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে আমাদের মাদরাসায় নূরানি বিভাগের ক্লাস বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কারণ, সকালে বাচ্চারা স্কুলে যায়। সকালে নূরানি ক্লাস নিলে তারা উপস্থিত থাকতে পারে না।
ভুক্তভোগী শিক্ষক আরও জানান, ঘটনার দিন বুধবার বিকেলে মক্তবের ছাত্রদের উপস্থিত হওয়ার জন্য মাইকে ডাক দিই এবং কিছু দুআ-দরূদ এবং একটি গজল বলা শুরু করি। এরই মধ্যে মনসুর আলীর ছেলে আবদুল করিম (২৭) একটি বাঁশ নিয়ে মসজিদের দরজায় এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন এবং আমাকে তুইতোকারি করে গালাগাল করতে থাকেন। তিনি আমাকে মারধর করতে উদ্যত হলে স্থানীয় কয়েকজন এসে আমাকে সরিয়ে নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী শিক্ষক আবদুল জলিল আরও জানান, এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি এসে একটি কাগজ নিয়ে তাতে আমাকে স্বাক্ষর করতে বলেন, যেখানে 'মসজিদে উচ্চস্বরে আজান এবং মক্তবের ছাত্রদের মাইকে ডাকা যাবে না'সহ বেশ কিছু কথা লেখা ছিল।
নূরে মাদিনা হাফিজিয়া মাদরাসার আরেক শিক্ষক এবং ওই মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক ঘটনাটিকে অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে বলেন, অভিযুক্তকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ওই শিক্ষককে অভিযুক্ত ব্যক্তি হুমকি-ধমকি দেওয়ায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় আছেন।
তবে ওই মসজিদের সভাপতি কায়েম উদ্দিন ঘটনাটিকে অত্যন্ত ছোট বিষয় বলে উল্লেখ করে বলেন, মসজিদের চারটা মাইক তো, তাদের বাড়ি মসজিদের সাথেই। মাইকে ডাকার পরে হুজুরের সঙ্গে তার একটু কথা কাটাকাটি হয়। বাঁশ দিয়ে মসজিদে আঘাত করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবদুল করিম আসলে বাঁশ দিয়ে দরজায় আঘাত করেননি, দরজায় নক করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবদুল করিম মোবাইল ফোনে বলেন, ওই হুজুর মাইকে নারী বিদ্বেষী গজল গাইছিলেন। তাই তাকে থামিয়েছি। আর বাঁশ দিয়ে মূলত দরজায় আঘাত করে তাকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলাম। আঘাতটা হয়তো একটু জোরে হয়ে গেছে, এতটুকুই।
ইমরান